প্রতীকী ছবি।
কাটমানির যত আবদার, বাংলা আবাস যোজনাকে ঘিরেই।
তা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’র ইনবক্স উপচে পড়েছে, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কানে অভিযোগ তুলে দিতে ফোনের হিড়িকও কম নয়। শাসক দলের বেয়াদপি সামাল দিতে মোতায়েন হয়েছে প্রশাসনের লাগাতার প্রচারও।
তবে ভবি যে ভুলবার নয়, সালারের জনা কয়েক তৃণমূল কর্মীর কাটংমানি চাওয়ার বহর এবং তার জেরে হাতাহাতির ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।
সোমবার রাত থেকে স্থানীয় কুলুরি গ্রামে দফায় দফায় কাটমানির আব্দারের দায় সামাল দিতে না পেরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামীদের শুরু হয় খন্ডযুদ্ধ। পুলিশ আসে। আটক করা হয় এলাকার দুই পরিচিত তৃণমূল কর্মী কাওসর শেখ ও হালিম শেখ। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত দু’পক্ষই ব্যাপারটি মিটমাট করে নেওয়ায় জল আর বেশি দূর গড়ায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জব কার্ড হাতিয়ে রাখা ওই তৃণমূল কর্মীরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে হাজার টাকা করে দাবি করছিল। তার জেরেই বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ শেখ ও ডালিম শেখরা বলেন, “সরকারি ভাবে যে ঘর পাওয়া যাচ্ছে তাতে জব কার্ড থাকা জরুরি। কিন্তু আমাদের ওই কার্ড নেই। আমরা পঞ্চায়েত সদস্যকে ওই কার্ড চাইয়ে গিয়েছিলাম, সেখানে এক হাজার টাকা না দিলে ওই কার্ড পাওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল। তাতেই অশান্তি বাধে। তবে পরে তা মিটমাট করে নেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।’’
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য মোক্তার শেখ বলেন, “না না আমরা টাকা পয়সা চাইনি। যারা চেয়েছিল তারাও তৃণমূল করেনা।’’ তা হলে কোন সাহসে তারা টাকা দাবি করল? তার কোনও সদুত্তোর অবশ্য মেলেনি।
ভরতপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তমূলের চেহারাটা এ থেকেই স্পষ্ট। দিদির কথাও এখন আর কেউ শোনে না। কাটমানির আব্দার এখনও চলছে।’’ যদিও তৃণমূলের ভরতপুর ২নম্বর ব্লকের সভাপতি আজাহারউদ্দিন সিজার বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ। যারা কাটমানি চেয়েছিল তারা তৃণমূলের নয়।’’ তবে কে তারা? জবাব দিতে পারেননি আজহারউদ্দিন।
সালারের কুলুরি গ্রামের ঘটনা অবশ্য কান্দির মহকুমাশাসক অভীক কুমার দাসের কানে গিয়েছে। তিনি বলেন, “মানুষের কাজের জন্য কার্ড তা অন্য়ের কাছে থাকবে কেন? গোটা বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হবে। কোনও চাপের কাছেই প্রশাসন মাথা নোয়াবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy