Advertisement
E-Paper

বিজেপি’র পাখির চোখ দুই পুরসভা

সংখ্যালঘু প্রভাবিত মুর্শিদাবাদ জেলার এই দুই পুরসভায় গত লোকসভা নির্বাচনে ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলের নিরিখে বুকে বল পাওয়ার মতো ভোট পেয়েছিল বিজেপি।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:১৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পাখির চোখ জিয়াগঞ্জ। সঙ্গে লেজুড় মুর্শিদাবাদ।

সংখ্যালঘু প্রভাবিত মুর্শিদাবাদ জেলার এই দুই পুরসভায় গত লোকসভা নির্বাচনে ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলের নিরিখে বুকে বল পাওয়ার মতো ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আসন্ন পুর-ভোটে ওই দুই পুরসভাতেই তারা যে আশায় বুক বাঁধবে, বলাই বাহুল্য। দেওয়াল লিখন থেকে ঘন ঘন দলীয় বৈঠক, কর্মীদের জড় করে উদ্বুদ্ধ করা— চেষ্টায় খামতি রাখছে না তারা। বিজেপি’র মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের কথাতেও সেই আত্মবিশ্বাস, ‘‘দেখবেন, মুর্শিদাবাদ এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভায় অভাবনীয় ফল করব আমরা।’’ সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন, ‘‘তার মানে অন্য পুরসভাগুলোয় পিছিয়ে নেই আছি এমন ভাবার কারণ নেই, মিলিয়ে নেবেন।’’

গত লোকসভা নির্বাচনে ১৭ ওয়ার্ডের মুর্শিদাবাদ পুরসভার সব ক’টিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে কোথাও কংগ্রেস কোথাও বা তৃণমূল। স্বল্প দূরের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ফলও তাদের পক্ষে ছিল ভরসাদায়ক, ১৬টি ওয়ার্ডের ১২টি-তেই এগিয়ে ছিল তারা। এ বার তাই ওই দুই পুরসভায় বুক বেঁধেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

দুই পুরসভাতেই বাড়ি ঘুরে প্রচার শুরু করেছে তারা। প্রতিটি বুথ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম জমা নেওয়াও শুরু হয়েছে। এবং বিজেপি’র দাবি সাড়াও মিলছে ‘অভূতপূর্ব’। দলের এক জেলা নেতার দাবি, ‘‘দু’টি পুরসভা থেকেই এক একটি ওয়ার্ড থেকে ৪-৫ জন করে প্রার্থীর নাম উঠে আসছে। অবূতপুর্ব সাড়া মিলেছে। নাম দেখে তাঁদের বায়োডেটা দেখে রাজ্য নেতারা তালিকা চূড়ান্ত করবেন।’’

বিজেপি’র মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ) জেলায় মুর্শিদাবাদ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ছাড়াও বহরমপুর, কান্দি ও বেলডাঙা পুরসভা পড়ে। এই মুহুর্তে সব ক’টি পুরসভা শাসকদল তৃণমূলের দখলে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই দুই পুরসভা ছাড়াও বহরমপুর পুরসভার সব ওয়ার্ডে কংগ্রেস এক নম্বরে থাকলেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্তত ১৩টি ওয়ার্ডে। এই পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ এবং জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার পাশাপাশি অন্য পুরসভাগুলিতেও প্রস্তুতি শুরু করেছে দল। ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নয়া নাগরিকত্ব আইন, নাগরিক পঞ্জিকরণের ‘সুফল’ বোঝাতে শুরু করেছে তারা।

জেলা বিজেপি’র এক নেতা স্পষ্টই বলছেন, ‘‘শহরাঞ্চলে হিন্দু ভোটের সংখ্যা বেশি। আমাদের লক্ষ্য ওই ভোটাররা। আমরা চাইছি, শিক্ষিত-স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকে প্রার্থী করতে, যাঁরা ওই ব্যাপারটা মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবে তুলে ধরতে পারবেন।’’ আর সেই লক্ষ্যে সংখ্যালঘু প্রভাবিত জেলায় হিন্দু প্রার্থীর খোঁজ
করছে তারা।

যা শুনে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র অশোক দাস বলছেন, ‘‘সেই ধর্মের তাস খেলেই বিভাজনের রাজনীতি শুরু করছে বিজেপি। মুর্শিদাবাদের মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না।’’ দলের এক জেলা নেতারও আশা, ‘‘লোকসভা ভোট এবং পুরভোট এক নয়। উন্নয়ন, পরিষেবার নিরিখে স্থানীয় স্তরের ভোট হয় পুরসভায়। রাজ্য সরকার পুরসভাগুলির কী অভূতপুর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছে তা মানুষ জানেন। সেই পরিষেবার দামও তাঁরা ভোটেবাক্সে মিটিয়ে দেবেন!’’

West Bengal Municipal Election 2020 BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy