Advertisement
E-Paper

শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে দুই সন্তানকে খুন নদিয়ার করিমপুরে! ধৃত মা, নেপথ্যে কোন রহস্য? তদন্তে পুলিশ

মহিলার স্বামী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে স্ত্রীর কোনও রকম ঝামেলা নেই। বাড়িতে ঢুকে দেখি দুই ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের দু’জনের মাঝখানে পড়ে আছে শিলনোড়া।’’

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৫ ১৬:০৫
Woman allegedly killed her son in Nadia, arrested

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দুই সন্তানকে শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। নদিয়ার করিমপুরের আনন্দপল্লির ঘটনা। বুধবার রাতে মৃত্যু হয়েছিল মহিলার ছোটছেলের। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় বড়ছেলের। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তেহট্টের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘দু’টি ছেলেরই মৃত্যু হয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মহিলা রিঙ্কু মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, মানসিক বিকার থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন মহিলা। মৃতেরা হল জোজো মজুমদার (৮) এবং বুদ্ধদেব মজুমদার (১২)। আনন্দপল্লিতে তরুণ পালের বাড়িতে ভাড়া থাকেন স্বর্ণশিল্পী সূর্য মজুমদার। তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুর বিরুদ্ধেই দুই ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। সূর্যের দাবি, বুধবার বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দুই ছেলে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। তার পর দুই সন্তানকে নিয়ে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাতে মৃত্যু হয় ছোটছেলে জোজোর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় বুদ্ধদেবের।

ছোটছেলের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছোতেই স্থানীয়েরা মহিলার উপর চড়াও হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দুই সন্তানের মৃত্যু প্রসঙ্গে সূর্য বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে স্ত্রীর কোনও রকম ঝামেলা নেই। বাড়িতে ঢুকে দেখি দুই ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের দু’জনের মাঝখানে পড়ে আছে শিলনোড়া। আমি ঘরে ঢুকতেই ও (রিঙ্কু) ছুটে পালিয়ে যায়। এমন ঘটনা ঘটাতে পারে আমি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করিনি।’’ প্রতিবেশী অদিতি বিশ্বাসের দাবি, ‘‘রিঙ্কুর এমন কোনও মানসিক অসুখ ছিল না যার জন্য দুই সন্তানকে এ ভাবে শিলনোড়া নিয়ে থেঁতলে মারার চেষ্টা করবে। অন্য কোনও রহস্য আছে, পুলিশ তদন্ত করুক।’’ কেন এই হামলা করলেন মহিলা, নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Mother killed son Nadia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy