বাংলাদেশে থেকে বেআইনি ভাবে এ দেশে প্রবেশ করেছিলেন প্রায় আট বছর আগে। অভিযোগ, তার পর থেকে মুর্শিদাবাদের এক যুবকের স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকছিলেন রত্না আখতার রুনা ওরফে রত্না বিবি। ওই যুবকের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রুনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবকের খোঁজ চলছে।
পুলিশি জেরায় রুনা স্বীকার করেছেন, তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ ভিসা তিনি দেখাতে পারেননি বলে খবর। ফরেনার অ্যাক্টে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত করছে ভরতপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রুনা বাংলাদেশের ঢাকার কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। বড়ঞার এক যুবকের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয় তাঁর। অভিযোগ, প্রায় আট বছর আগে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ভাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। ওই যুবক ভিন্রাজ্যে কাজ করতেন। এর পরে সেখানে রুনাকে ডেকে নেন। সেখানেই তাঁরা থাকতে শুরু করেন বলে জেনেছে পুলিশ। তাঁর স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও রুনাকেই স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ওই যুবক ঘুরে বেড়াতেন বলে অভিযোগ। প্রথমে চেন্নাইতে কাজ করতেন দু’জনে। তার পরে মুম্বইয়ে বেশ কিছু দিন ছিলেন তাঁরা। কয়েক দিন আগেই মুর্শিদাবাদে এসে পৌঁছন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
সোমবার ওই যুবক রুনাকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। ভরতপুরের তালগ্রাম এলাকায় যুবকের শ্বশুরবাড়ি। সেখানে যেতেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই রুনাকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে রুনাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।