বিভিন্ন দাবিতে তেহট্ট ১ ব্লকের সিডিপিও অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ঘণ্টাখানেক সেই বিক্ষোভে শামিল হন ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। পরে বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা সমাধানের জন্য দফতরে লিখিত আবেদন জানান তারা।
ওই কর্মীদের অভিযোগ, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু ও প্রসূতিদের খাওয়ানোর জন্য বরাদ্দ যে টাকা, তাতে তিন দিন ভাত-ডিম খাওয়া যায় না। ডিমের যা দাম তাতে ধার থেকে যায় দোকানে। এক জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বেতন ৮২৫০ টাকা। তার মধ্যে কেন্দ্র দেয় ৪৫০০ টাকা, রাজ্য দেয় ৩৭৫০ টাকা। অন্য দিকে অঙ্গনওয়াড়ি এক জন সহায়ক বেতন পান ৬৩০০ টাকা, তার মধ্যে কেন্দ্র দেয় ২২৫০ ও রাজ্য দেয় ৪০৫০ টাকা। কিন্তু বেতন আসতে দেরি হয়।
তাঁদের আরও অভিযোগ, এক সময় পোষন ট্র্যাকারের কাজ শুরু হয় প্রসূতি ও শিশুদের বিভিন্ন নথি সংগ্রহের জন্য। সেই কাজ মূলত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরাই করছেন। সেই কাজের জন্য প্রয়োজন মোবাইল ফোন ও সেই সঙ্গে ইন্টারনেট। কিন্তু অনেককেই মোবাইল ফোন অন্য কারও থেকে ধারে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে, ইন্টারনেটের খরচও তাঁদেরই দিতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতর কোনও সাহায্য করেনি। দফতপ থেকে সব সময় বলা হয়, কেন্দ্র যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু তার জন্য যে সাবান ইত্যাদি প্রয়োজন তা সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে মেলে না।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শচী সরকার, কণিকা সরকারেরা বলেন, “রান্নার ডিম নিয়ে সমস্যা, দেওয়া হয়না হলুদ, বেতন ঠিক সময়ে আসে না। বহু সমস্যার মধ্যেও কেন্দ্র ঠিকভাবে চালাচ্ছি, তবুও হেনস্থা হতে হয়।” তেহট্ট ১ সিডিপিও অনুপম নাথের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)