প্রতিবেশী এক কিশোরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। এর কিছু পরে ওই যুবকেরও অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল। মৃত যুবকের নাম সুধীর ঘোষ (২৯)। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়ির কাছে ওই যুবককে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ আগেই ওই যুবক রাস্তায় ধারে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী এক কিশোরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। বর্তমানে ছুরিতে জখম ওই কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় কোনও পরিবারের তরফেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার বলেন, “কোনও অভিযোগ না হলেও ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে প্রতিবেশী কিশোরীকে কোপানোর বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার অস্বাভাবিক ভাবে মৃত সুধীর ঘোষের বিয়ে ছিল। সেই মতো যুবকের বাড়িতে মণ্ডপ বাধার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার আচমকা ওই ঘটনার পরে কার্যত হতবাক যুবকের প্রতিবেশী তথা স্থানীয় বাসিন্দারা। ঠিক কী কারণে ওই যুবক এমন কাজ করল, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা। যদিও প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, প্রণয়-ঘটিত টানাপড়েনেই সুধীর এমনটা ঘটিয়েছে। এ দিন প্রতিবেশী কিশোরীকে খুন করতে চেয়ে তাকে কুপিয়েছিল সে। পরে নিজেই ফাঁসে ঝুলে আত্মঘাতী হয়।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ সুধীরের প্রতিবেশী ওই কিশোরী টিউশনে যাচ্ছিল। সেই সময়ে রাস্তায় তাকে ধরে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। এর পরে কিশোরীকে রাস্তা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিশোরীর অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি জখম কিশোরীর পরিবার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)