ছিনতাইকারীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় মুর্শিদাবাদের নওদার ত্রিমোহিনীতে পুলিশের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধে আহত হলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দফায় দফায় এলাকার কিছু মানুষের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সেই রাতে বেলডাঙা-আমতলা রাজ্য সড়কের উপরে প্রায় দেড়-দু’হাজার লোক জড়ো হয়ে যান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অনেক মহিলাও। নওদা থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে ওই কনস্টেবল প্রহৃত হন। শেষ পর্যন্ত জেলা পুলিশের একটি বড় দল গিয়ে মধ্য রাতে অবস্থা সামাল দেয়।
স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের আবু তাহের খান বলেন, “ওই কনস্টেবলকে প্রথমে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা হয়েছিল বলেও শুনেছি। পরে তাঁকে একটি পরিত্ত্যক্ত ঘরেও কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়।”
পুলিশ অবশ্য ওই কনস্টেবলকে এলাকার লোকজন গাছে বেঁধে রেখেছিলেন বলে স্বীকার করেনি। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “ওই পুলিশকর্মীকে গ্রামবাসীরা আটকে রেখেছিলেন। তাঁকে ধাক্কাও দেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দু’রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে।” এলাকার মানুষের অবশ্য দাবি, পুলিশ লাঠিও চালিয়েছে। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ। গম ঝাড়াই-বাছাই করিয়ে লাখ দেড়েক টাকা নিয়ে সেই রাতে ওই রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন ভিন রাজ্যের চার ব্যবসায়ী। তাঁদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেই সময়ে পাঁচ জনের একটি দুষ্কৃতী দল টাকা ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। আক্রান্ত ব্যবসায়ীদের চিৎকারে ছিনতাইকারীদের একজন ধরাও পড়ে যায়। অভিযোগ, এলাকার কিছু মানুষ তখন তাকে তখন একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মারধর করছিল। সেই সময় পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে বারণ করায় হঠাৎ করেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নওদা থানার যে ছোট দলটি প্রথমে এসেছিল, তারা ক্ষুব্ধ জনতার সামনে পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, “তখনই ওই পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয়।
তাঁকে পরে আটকেও রাখা হয়েছিল। জেলা পুলিশের বড় দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy