Advertisement
E-Paper

ফল প্রকাশে দেরি, পিছোল ছাত্র ভোট

পরীক্ষা শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। কিন্তু এখনও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি। ফলে কলেজগুলিতে এই মহূর্তে দ্বিতীয় বর্ষের কোনও পড়ুয়া নেই। এদিকে আবার চলতি মাসের মধ্যেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। এই অবস্থায় অথৈ জলে পড়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কলেজ ভোট নিয়ে জেলা প্রশাসনের ডাকা সভাতে দ্বিতীয় বর্ষকে বাদ দিয়ে ভোট করার বিরোধীতা করে ছাত্র সংসদ ও কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১৩

পরীক্ষা শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। কিন্তু এখনও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি। ফলে কলেজগুলিতে এই মহূর্তে দ্বিতীয় বর্ষের কোনও পড়ুয়া নেই। এদিকে আবার চলতি মাসের মধ্যেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। এই অবস্থায় অথৈ জলে পড়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কলেজ ভোট নিয়ে জেলা প্রশাসনের ডাকা সভাতে দ্বিতীয় বর্ষকে বাদ দিয়ে ভোট করার বিরোধীতা করে ছাত্র সংসদ ও কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি।

প্রশাসন ২৮ জানুয়ারি জেলার ১৮টি কলেজেই নির্বাচনের দিন ধার্য করে। সেই মত প্রস্তুতিও শুরু হয়। তারই অঙ্গ হিসেবে এ দিন বিকেলে কলেজ কতৃপক্ষ ও ছাত্র সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। কিন্তু বৈঠকেই সব ছাত্র সংগঠনই একযোগে নির্ধারিত দিনে ভোট করার বিরোধীতা করে। আপত্তি তোলেন বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরাও। শেষমেশ জেলা প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করার জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জেলাশাসক পি বি সালিম বলেন, ‘‘কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের ফল বার করতে না পারার জন্য নির্ধারিত দিনে ভোট করা যাচ্ছে না। বিষয়টি জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি।’’ এদিনের মিটিং শেষে ছাত্র পরিষদ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, এসএফআই ও এবিভিপি’র জেলা নেতৃত্বরা চলতি মাসে ভোট করানোর বিরোধীতা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কোনও একটি বর্ষের পড়ুয়াদের বাদ দিয়ে ভোট করানো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান বিরোধী।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় দিন কয়েকের মধ্যে ফল প্রকাশ করলেও নির্ধারিত সময়ে ভোট করানো যাবে না। কারণ, সেক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তির ও ভোটার তালিকা তৈরি করতে অন্তত দিন পনেরো সময় লাগবে। তার পর ভোটের দিন ঘোষণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান অনুযায়ী, ভোটের দিন ঘোষণা ও ভোটের দিনের মধ্যে অন্তত পক্ষে ১৪ দিনের ব্যবধান থাকতে হবে। ফলে কোনওভাবেই চলতি মাসে ভোট করা যাবে না। আবার ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি নাগাদ রয়েছে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। তার আগে প্রশাসন ছাত্র ভোট করাতে পারবে না বলে অনেকেই মনে করছে। ফলে কবে ভোট হবে সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না।

লোডশেডিং। শীতের মরসুমেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল জলঙ্গি। সকাল-সন্ধ্যে লোডশেডিংয়ের জেরে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী থেকে পড়ুয়া সকলেই। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত অভিযোগও জানিয়েও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। বিদ্যুৎ দফতরের জলঙ্গি গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজার তন্ময় বিশ্বাস বলেন, “সকালে কিছু সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকছে। তবে সেটাও খুব কম সময়ের জন্য। এটা খুব শীঘ্র ঠিক হয়ে যাবে।” সামনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। এই অবস্থায় সকাল-সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকায় নাকাল হচ্ছে পরীক্ষার্থীরাও।

student election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy