সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে হেলায় জিতলেন শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে। চাকদহও গত বারের চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে জিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল।
গেল বছরের ২৫ নভেম্বর শান্তিপুরের পাঁচ বারের বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান অজয়বাবু সদলবলে কংগ্রেস ছেড়ে শাসকদলে যান। তারপর চলতি মাসের ১২ তারিখে ওই কেন্দ্রে অকাল বিধানসভার ভোট হয়। শাসকদলের প্রার্থী হন অজয়বাবু। কংগ্রেসের হয়ে ময়দানে নামেন অজয়বাবুর একদা ছায়া সঙ্গী কুমারেশ চক্রবর্তী। শান্তিপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর কুমারেশবাবু অজয় দে-র সঙ্গে শাসকদলে যাননি। গত মাস সাতেক ধরে তিনি লাগাতার অজয়বাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে প্রচার চালাচ্ছিলেন। অজয়বাবুকে হারানোর জন্য তিনি উঠেপড়ে লাগেন। কিন্তু অবশেষে শুক্রবার ফল দেখিয়ে দিল, শান্তিপুরের মাটিতে দীর্ঘ ২২ বছরের বিধায়ক অজয়বাবুর শিকড় কতটা গভীরে। এ দিন রানাঘাট কলেজের গণনাকেন্দ্রের সামনে তৃণমূলকর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলার দিকে খবর আসে অজয়বাবু ২০১৩৫ ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামপ্রার্থী অনুপ ঘোষকে হারিয়ে দিয়েছেন। এই খবর চাউর হতেই গণনাকেন্দ্রের সামনে তৃণমূল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ক্রমেই বাঁধনছাড়া হতে থাকে।
চাকদহ বিধানসভাতেও দখল বজায় রাখল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, ব্যবধান বেড়েছে গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। চাকদহ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী রত্না ঘোষ জিতেছেন ৩৭ হাজার ৭৬৫ ভোটে। এ বারের নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৮৭টি ভোট। অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৫৩ হাজার ২২। গতবার চাকদহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র চাকী জিতেছিলেন ১৪ হাজার ৯৯টি ভোটে। চলতি বছর ফেব্রয়ারী মাসে নরেশবাবুর মৃত্যু হওয়ায় এখানে উপ-নির্বাচন হয়েছে। সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক রত্না ঘোষ বলেন, “গত তিন বছরে গোটা রাজ্যের সঙ্গে এই এলাকাতেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে এবার অনেক বেশি মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন”।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy