পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার এবং উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় নতুন ভোটার কার্ডে বিপুল গরমিলের অভিযোগ পেল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও)। কমিশন সূত্রের দাবি, গরমিলের তথ্য তাঁরা মেনে নিয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত কর্মী-আধিকারিক এবং ডেটা-এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে সিইও কার্যালয়।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারে ৫৯ এবং রাজারহাট-গোপালপুরে ৪৩টি ভোটার কার্ড এমন পাওয়া গিয়েছে, যেগুলিতে কোনও নথি যাচাই হয়নি। দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, যে নথি দাখিল হয়েছিল, একাধিকজনের ক্ষেত্রে একই অথবা সেগুলির এতই অস্পষ্ট যা বোঝা সম্ভব নয়। এমনকি, ইআরও স্তরে আবেদন অনুমোদনের আগে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) স্তরে যাচাই হওয়ার কথা, সে কাজও করা হয়নি। ধরা পড়া সংখ্যার মধ্যে বেশ কিছু ভোটারের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, গত এক বছরে যত নতুন ভোটার কার্ড হয়েছে, তার নমুনা যাচাইয়ের নির্দেশ সব জেলাশাসকদের দিয়েছিল কমিশন। তাতেই এই গরমিল ধরা পড়েছে বলে খবর। কমিশন আরও জানতে পারে, ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নিজস্ব ‘লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড’ দিয়েছিলেন ইআরও-রা। তারা অনুমোদনের কাজ করেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিএলও-দের দাখিল করা রিপোর্টের সঙ্গে মিলছে না ইআরও-দের রিপোর্টও। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন কাজ হওয়ায় তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল কমিশন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)