Advertisement
E-Paper

ট্রেনে ট্রেনে লোকগান গেয়ে ভিক্ষা, প্রিয়ঙ্কার ভাইরাল ভিডিয়োতে মজেছে নেটদুনিয়া

অন্য যে কেউ হলে হয়তো হাল ছেড়ে দিত। এই বয়সে লোককে মুগ্ধ করে মাধুকরী, খুব সহজ কাজ নয়। কিন্তু গানের অর্জন যে আসলে অযুত মানুষের ভালবাসা, তা ততদিনে বুঝে গিয়েছে প্রিয়ঙ্কা। তাই মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সে। দাদু যে রুটে গান গাইত সেই রুটকেই নিজের রোজের যাত্রাপথ হিসেবে বেছে নেয় প্রিয়ঙ্কা। নিত্যযাত্রীরাও তাঁকে ভালবাসে, এক দিন না দেখলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৫২
প্রিয়ঙ্কার গান নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। ছবি সূত্র্র্রঃ ফেসবুক

প্রিয়ঙ্কার গান নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। ছবি সূত্র্র্রঃ ফেসবুক

সে কামরায় পা রাখতেই কান থেকে ইয়ারফোন নামিয়ে রাখেন নিত্যযাত্রীরা। একের পর এক মুহূর্তে এমন মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলে সে সকলকে যে, রোজের ক্লান্তিকর যাত্রাটা হয়ে ওঠে এক ‘সুহানা সফর’। ট্রেনে ট্রেনে গান গাওয়া পনেরো-ষোলো বছরের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।

সায়ন্তী মজুমদার নামের এক নিত্যযাত্রী প্রিয়ঙ্কার গানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি গল্পও বলেছেন প্রিয়ঙ্কার জীবনের। সেই গল্প হার মানাবে ট্যাজেডিকেও।

ট্রেনে তো অনেকেই গান গেয়ে থাকেন৷ চলার পথে অনেকের গায়কী মুগ্ধও করে নিত্যযাত্রীদের। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার যাত্রাপথটা সকলের থেকে আলাদা। এক নিত্যযাত্রীর কথায়, ‘‘প্রিয়ঙ্কার গলায় ভাব আছে। দরদ দিয়ে গান গায় ও। অনায়াসে যে কোনও পর্দায় গাইতে পারে।’’ রেলসফরে শ্রোতাদের প্রিয়ঙ্কা জানায়, দাদু তাঁকে হাতে ধরে সরগম শিখিয়েছে, বহু লোকগীতিও শিখিয়েছে। সেই গানের পুঁজিই ওঁর সবচেয়ে বড় সঞ্চয়।

শুনুন প্রিয়ঙ্কার গানঃ

শিয়ালদহ দক্ষিণ ও শিয়ালদহ মেন শাখায় অবাধ যাতায়াত প্রিয়ঙ্কার। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীকান্তপুর। ডাউন শিয়ালদহ-শান্তিপুর লোকালের এক নিত্যযাত্রী সোদপুরের বাসিন্দা অঙ্কিতা দেব বলেন, ‘‘আমি দাদু-নাতনিকে এক সঙ্গেই গান গাইতেও শুনেছি। একদিন দেখি ও একা ট্রেনে উঠেছে। জিজ্ঞেস করার পরে বলে, লাইন পেরোতে গিয়ে দাদু ট্রেনে কাটা পড়ে মরেছে।’’

আরও পড়ুনঃআমাকে মেরুদণ্ডহীন ভাবা ভুল হবে: রাজ্যপাল
আরও পড়ুনঃপুলিশি ‘হেনস্থা’ রুখতে রাজ্যপালের কাছে কংগ্রেস

অন্য যে কেউ হলে হয়তো হাল ছেড়ে দিত। এই বয়সে লোককে মুগ্ধ করে মাধুকরী, খুব সহজ কাজ নয়। কিন্তু গানের অর্জন যে আসলে অযুত মানুষের ভালবাসা, তা ততদিনে বুঝে গিয়েছে প্রিয়ঙ্কা। তাই মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সে। দাদু যে রুটে গান গাইত সেই রুটকেই নিজের রোজের যাত্রাপথ হিসেবে বেছে নেয় প্রিয়ঙ্কা। নিত্যযাত্রীরাও তাঁকে ভালবাসে, এক দিন না দেখলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে।

ছোট করে ছাঁটা চুল। পরনে শার্ট-প্যান্ট, প্রিয়ঙ্কার চেহারা আপাতভাবে পুরুষের মতো। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার দাবি সে পুরুষ নয়, মহিলা। আত্মরক্ষার জন্যে সে এই পোশাককে বেছে নিয়েছে।

কয়েক মাস আগেই রানাঘাটে গান গাওয়া রানু মণ্ডল সাক্ষী হয়েছেন এক স্বপ্নের উড়ানের। প্রিয়ঙ্কার ভক্তরাও দিন গুনছেন। তাঁরাও নিশ্চিত প্রিয়ঙ্কার ম্যাজিক কেবল সময়ের অপেক্ষা।

Viral video Girl Singing in Train Ranu Mandol প্রিয়ঙ্কা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy