ছবি: পিটিআই।
তাঁকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ ভাবলে ‘ভুল’ হবে— রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের প্রেক্ষিতে ফের কড়া মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপাল সোমবার এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘সাংবিধানিক দায়িত্বই আমি পালন করছি। কেউ কোথাও যদি দেখাতে পারেন, আমি রাজ্যপাল হিসেবে লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করছি, তা হলে ভুল স্বীকার করে নেব।’’ রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘‘এখানে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমাকে ভদ্রলোক ভাবলে আমি তা-ই। কিন্তু কেউ যদি ভাবেন আমি মেরুদণ্ডহীন, নিরস্ত্র, তা হলে ভুল হবে!’’
সরকারের শীর্ষ মহল অবশ্য রাজ্যপালের এক গুচ্ছ অভিযোগের জবাবে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপালের যা মনে হয়েছে, তিনি বলেছেন। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দক্ষ’ এবং ‘অভিজ্ঞ’ রাজনীতিক বলে প্রশংসা করেও রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘এখনও উনি নিজে কিছু বলেননি। তবে ওঁর মন্ত্রীরা যা বলছেন, তা ওঁর অজ্ঞাত বলে মনে হয় না। এই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবাদ হবে, কল্পনা করতে পারিনি। আসলে এখানে আমি অসহিষ্ণুতার স্বীকার।’’ রেড রোডে কার্নিভালের দিনের ঘটনা টেনে ফের তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে এক কোণে পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বড় মঞ্চে থাকলেন। রাজ্যপালের দফতরকে এ ভাবে অসম্মান করলেন কেন?’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘ঘটনার পরে চার দিন অপেক্ষা করেছিলাম। আমি প্রোটোকল-বিলাসী নই। কিন্তু প্রোটোকল না মেনে রাজ্যপালের দফতরকে অসম্মান করা হল বলেই মুখ খুলেছি।’’
মন্ত্রীদের আচরণ নিয়েও ফের মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, ‘‘মন্ত্রীরা না জেনে যা খুশি বলছেন। ওঁরাই আমাকে প্রতিক্রিয়াশীল করেছেন!’’ রাজ্যের শিক্ষা-ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখানে উচ্চশিক্ষা পঙ্গু। শিক্ষায় রাজনীতিকরণ কেন হচ্ছে?’’ তাঁর আরও অভিযোগ, তিনি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কিছু জানানো হয় না। তাঁকে কোনও তথ্য না দিয়েই সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy