স্রোতে ভেঙে গিয়েছে সেতু। নিজস্ব চিত্র
ধূপগুড়িতে প্রবল বর্ষণের জেরে ভেঙে পড়ল সেতু। ভুটান পাহাড় এবং ডুয়ার্সে রাতভর বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে হাতিনালায়। তার জেরেই গয়েরকাটা থেকে হলদিবাড়ি চা বাগান হয়ে বিন্নাগুড়ি যাওয়ার পথে অবস্থিত লালপুল ভেঙে পড়েছে মঙ্গলবার গভীর রাতে।
হাতিনালার উপর ওই সেতু ভেঙে পড়ায় সমস্যায় পড়েছে বহু লোক। কেউ কেউ হাতিনালার স্রোত পেরিয়েই যাতায়াত করছেন। আবার কেউ ঘুরপথে যাচ্ছেন গন্তব্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা এবং ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেত্রী সীমা চৌধুরী।
সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বার্লা। তাঁর মতে, ‘‘যে ভাবে কাজ হয়েছে তা নিম্নমানের। এখানে ৫০-৬০ লক্ষ টাকার কাজ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে, ৫ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে বলেই তো ভেঙে গিয়েছে।’’ সীমার পাল্টা তোপ, ‘‘নিম্ন মানের কাজ হলে এই রাস্তা বন্ধ থাকত। জন বার্লার প্রতিটি কাজেই দুর্নীতি। উনি আবার দুর্নীতির অভিযোগ করছেন। দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
সেতুটির নির্মাণ কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বিপ্লব পাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘এখানে জল যায় এক দিকে, অথচ অন্য দিকে কালভার্ট হয়েছে। কালভার্টের গুণগত মানও খারাপ। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের ঘুরে ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy