Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে যুবকের দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ তৃণমূলের, দাবি ওড়াল বিজেপি

রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাতেই তৃণমূল এই অভিযোগ করেছে।

A dead body found in Tapan, 24 Parganas south, war of wards between TMC and BJP started

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৪
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে এক যুবকের দেহ মিলল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনে। নির্বাচনের আবহে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, মৃত যুবক তাদের সমর্থক ছিল। তাই তাঁকে খুন করেছে বিজেপির লোকজন। রাজ্যের শাসকদলের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসাতেই তৃণমূল এই অভিযোগ করেছে বলে দাবি তাদের। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, তপনের দ্বীপখন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা, পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী সমীর বর্মনকে বুধবার রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার একটি পুকুরের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের প্রতিবেশী নিজামুদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা থেকে অনেকের অনুমান, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। ওই প্রতিবেশী আরও জানিয়েছেন, এলাকায় ভাল ছেলে বলেই পরিচিত ছিল সমীর। নিহতের বাবা, পেশায় চিকিৎসক ধীরেন বর্মণ, ছেলের মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক, সেটাই তিনি চান। ছেলে তৃণমূল করত কি না এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সক্রিয় ভাবে দল না করলেও তৃণমূলকে ও ভালবাসত। নানা ভাবে দলকে সাহায্য করত।”

জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন। তাঁর বক্তব্য, শান্ত এলাকায় ভোটের আগে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছেন বলে দাবি তৃণমূলের। জেলারই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি সমর্থকদের ফাঁসাতে তৃণমূল এই সব অভিযোগ করছে।” ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, বিনা কারণে পুলিশ প্রশাসন বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করতে চাইলে গণতান্ত্রিক উপায়ে লড়াইয়ে নামতে বাধ্য হবেন তাঁরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “তপন থানায় লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE