শিকলবন্দি অবস্থায় তরুণ। প্রতীকী চিত্র।
মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ। বাইরে বেরিয়ে লোকজন দেখলেই মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। সেই কারণেই ছেলেকে শিকলবন্দি করে রেখেছেন বাবা-মা। এই ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কলমপাড়া গ্রামের। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। ওই তরুণের বাবা-মা চান, এই অবস্থায় পাশে দাঁড়াক প্রশাসন।
কলমপাড়ার বাসিন্দা সনাতন দাস ভ্যানচালক। তাঁর স্ত্রী চিনু পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁদের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু বড় ছেলে ছোটন মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি রয়েছেন শিকলবন্দি অবস্থায়। সনাতনের বক্তব্য, ‘‘ও বাইরে বেরোলেই মানুষের ক্ষতি করছে। একে ওকে আক্রমণ করছে। তাই ওকে শিকলে বেঁধে রেখেছি। ১০ বছর বয়সে ও আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। তার পর ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরার পর ওর এই পরিবর্তন। আগে কিছু চিকিৎসা করিয়েছি ওর। কিন্তু এখন ওর চিকিৎসা করার আর সামর্থ নেই।’’
যত দিন যাচ্ছে ততই বড়ছেলেকে নিয়ে আশঙ্কা, উদ্বেগের মেঘ জমছে দাস পরিবারে। চিনু বলেন, ‘‘ও এখন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে উৎপাত করছে। এর-ওর বাড়িতে গিয়ে ইট ছুড়ছে। তাই ওকে বেঁধে রেখেছি শিকল দিয়ে। ওর কোনও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র নেই। আবেদন করেও কিছুই পাইনি আমরা। ওর চিকিৎসা করানোর ক্ষমতাও আমাদের নেই। ভয় হয়, আমরা না থাকলে যে ওর কী হবে সেটা ভেবে।’’
বিষয়টি জানানো হয় হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসুকে। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy