Advertisement
E-Paper

দলে ভাঙন ঠেকাতে বৈঠকে অভিষেক

গৌরের মতো এখন চুপ করে রয়েছে মালদহে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অধিকাংশ নেতা-নেত্রীই।

অভিজিৎ সাহা 

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:২৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামে সভার দিন দিঘা সফরে গিয়ে দলের রোষের মুখে পড়েছিলেন তিনি। দলের অন্দরে ভুল স্বীকার করে ফের শুরু করেছিলেন কাজ। শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রী সভা থেকে শুভেন্দু ইস্তফা দিতেই ‘চুপ’ তাঁর ঘনিষ্ঠ মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডল। এমন কি, ঘরে-বাইরে শুভেন্দু নিয়ে মন্তব্যও এড়িয়ে চলছেন তিনি। তিনি কি দাদার পথে? শুক্রবার গৌর বলেন, “এটা (শুভেন্দুর ইস্তফা) রাজ্যের বিষয়। এখানে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”

গৌরের মতো এখন চুপ করে রয়েছে মালদহে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অধিকাংশ নেতা-নেত্রীই। তাঁদের একাংশের দাবি, দাদা (শুভেন্দু) দলে থাকাকালীনই তাঁর অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিয়ে অনেকেই দলের রোষের মুখে পড়েছেন। পদাধিকারীদের নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই দাদা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত চুপ করে থাকার পথেই হাঁটছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জেলা তৃণমূল নেতাদের একাংশ। দাদার ভাইয়েরা চুপ করে থাকলেও বসে নেই দল বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, শনিবার কলকাতায় মালদহের জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মৌসম নুর, দুলাল সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন, মানব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অম্লান ভাদুড়িরা হাজির থাকবেন। তাছাড়াও ডাকা হয়েছে গৌর এবং জেলার দুই প্রাক্তন মন্ত্রী, সাবিত্রী মিত্র এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকেও। এমন অবস্থায় কলকাতার বৈঠক অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তৃণমূলের জেলা নেতাদের একাংশ। দুলাল বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। সেখানেই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।”

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদহে ভরাডুবির পরেই তৃণমূলের জেলার পর্যবেক্ষক হন শুভেন্দু। তাঁর নেতৃত্বেই লড়াই করে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। বিধানসভায় ভরাডুবি হলেও পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সাফল্য পায় জেলায়। সেই সঙ্গে জেলায় শুভেন্দুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে অনেকের। মালদহ জেলা পরিষদের চাঁচল মহাকুমার এক সদস্য বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাদার জোরেই অনেক সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ জয়ী হয়েছেন। এখন সবাই চুপ করে রয়েছেন।”

শুধু জেলা পরিষদই নয়, শুভেন্দু অনুগামী রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক পদাধিকারীও। তৃণমূলের একাংশ নেতার দাবি, “শুভেন্দু জেলার পর্যবেক্ষক থাকার সময় প্রতিটি বিধানসভায় জেলার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির নেতাদের পর্যবেক্ষক করে বসিয়েছিলেন। সেই পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন শুভেন্দু। তাই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পদাধিকারী, কাউন্সিলর, বিধানসভার একাংশ পর্যবেক্ষকের উপরে নজর রাখছে দল।” এমন কি, আসরে নেমেছে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর টিমের সদস্যেরা। মৌসম বলেন, “দলের নজর সবার উপরেই আছে।”

Abhishek Banerjee TMC Trinamool
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy