টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলে এবিভিপি। —নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষা শুরুর পরেই নাকি টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি ছবি দেখিয়ে এমনই দাবি করেন উত্তর দিনাজপুরের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নেতারা। বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে ফলেছিলেন ভাইরাল হওয়া ওই ‘প্রশ্নপত্রের’ ভিত্তিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভুল স্বীকার করে তাঁরা জানান, পরীক্ষায় আসা প্রশ্নপত্র আর ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের মধ্যে কোনও মিল নেই। তাই তাঁরা আগের বক্তব্য এবং আন্দোলনের ঘোষণা থেকে সরে আসছেন।
রবিবার পরীক্ষা চলাকালীন রায়গঞ্জের কাশীবাটি বিদ্যালয়ের সামনে এবিভিপি-র নেতৃত্ব সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্নপত্রের আকারের কিছু কাগজ তুলে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ করেন পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই মোবাইলে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রশ্নপত্রের পিডিএফ কপি। এই রাজ্যের সরকার একটি পরীক্ষাও গোপনীয়তার সঙ্গে করতে পারে না বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
সেখানে দাঁড়িয়ে এবিভিপি-র তরফে দাবি করা হয়, গোটা বিষয়ের তদন্ত করতে হবে। এমনকি বিকাল ৪টেয় রায়গঞ্জে আন্দোলনেরও ডাক দেয় এবিভিপি।
কিন্তু পরীক্ষা শেষের আগেই নিজেদের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় এবিভিপি। এ বার সাংবাদিক বৈঠক করে স্বীকার করে নেয়, টেটের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের মিল নেই। তাই তারা আগের বক্তব্য থেকে সরে আসছে এবং ঘোষিত আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
তবে এবিভিপি দাবি করেছে, যাঁরা এ ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। গোটা বিষয় নিয়ে শাসক দলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy