কোচবিহারের বাজার। নিজস্ব চিত্র।
সারা রাজ্যের মতো কোচবিহার জেলাতেও কমছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই দোকান-বাজার খোলায় শিথিলতা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই উদাসীনতার চিত্র দেখা গেল কোচবিহার শহরে। নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ হচ্ছে না দোকান। এমনকি বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। এই ভিড় ঠেকাতে মঙ্গলবার হানাও দিয়েছেন পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তারা।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুসারে, শনিবার থেকে সোমবার, এই তিনদিনে কোচবিহার জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৩ জন। ওই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৮৭৯ জন। এই তিন দিনে কোচবিহার সদরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪০ জন, তুফানগঞ্জে ৭৫ জন, মাথাভাঙ্গায় ১১১ জন, দিনহাটায় ১৭৬ জন, মেখলিগঞ্জে ৬১ জন। তাই করোনা সংক্রমণ কিছু স্বস্তি দিলেও মানুষের উদাসীনতা চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, কোচবিহারে মাছ ও সব্জি বাজার খোলা থাকছে সকাল ১০টার পরও। এবং সাধারণ মানুষও ভিড় করছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান বাজার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেল ঘুমটি বাজার এবং ৫ নম্বর তালতলার রেলগেট বাজার খোলা থাকছে নির্দিষ্ট সময় পর। তা রুখতেই কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ভবানীগঞ্জ বাজারে হানা দেয়। সময়ে দোকান বন্ধের জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন পুলিশকর্মীরা। যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী অটোগুলোকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহকুমাশাসক রাকিবুর রহমান বলেছেন, ‘‘সোমবার থেকেই আমরা সেই সমস্ত জায়গায় হানা দিচ্ছি যে সব জায়গায় বাজার হাট খোলা রয়েছে। কিছু কিছু দোকানদার আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকান খুলে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা লক্ষ্য রাখছি। দরকারে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy