Advertisement
E-Paper

আচমকা অনশনে বসলেন চিকিৎসক

দিশারী ক্লাবের কাছে একটি ওষুধের দোকানের মালিক ল্যাব খোলার জন্য অতনুর থেকে দশলক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। অভিযোগ,  তা ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে মারধোর করা হয়। সেই ঘটনায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন এই চিকিৎসক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০২
অনশনে কুমার অতনু। নিজস্ব চিত্র

অনশনে কুমার অতনু। নিজস্ব চিত্র

অনশন শুরু করলেন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক কুমার অতনু। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ দিশারী ক্লাবের কাছে রাস্তার পাশেই অনশনে বসে পড়েন তিনি। সম্প্রতি একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত মামলায় তাঁর নাম জড়ায়। এর কিছুদিন পরেই স্থানীয় এক দোকানদার তাঁকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার রেশে তিনি বিষ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন। এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদেই অনশন বলে কুমার অতনুর দাবি।

দিশারী ক্লাবের কাছে একটি ওষুধের দোকানের মালিক ল্যাব খোলার জন্য অতনুর থেকে দশলক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। অভিযোগ, তা ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে মারধোর করা হয়। সেই ঘটনায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন এই চিকিৎসক। যার জেরে শহরজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। চিকিৎসকের স্ত্রী ওষুধের দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে তাঁকে পরিবার সহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করলে তিনি জামিন পেয়ে যান। দোকান মালিকও আদালতে আগাম জামিন পান। এই ঘটনা আগে শহরের বাবুপাড়া এলাকার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এক বৃদ্ধার মৃত্যুকে ঘিরে ৩০৪ ধারা ও ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টে মামলা রুজু করে পুলিশ।

অতনুর অভিযোগ, ‘‘আজ চারিদিকে চিকিৎসকদের হেনস্থা হতে হচ্ছেন। তাঁদের খুনি ও চোর বলা হচ্ছে। ৩০৪ ধারায় মামলা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই আমি অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেই।’’ অতনু অনশনে বসার পরে রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন তাঁর ভাই কুমার শান্তনু। তিনি বলেন, ‘‘দাদা প্রচন্ড মানসিক চাপে রয়েছে। গত শনিবার থেকেই বলছিল অনশনে বসবে। আটকে রেখেছিলাম।’’ ঘটনাস্থলে এসেছেন আইএমএ-র সদস্য চিকিৎসক কমলেশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘চিকি|সকদের স্বার্থে কুমার অতনুর প্রতিবাদকে সমর্থন জানাই।’’ যদিও অতনুকে বাড়ি ফিরতে অনুরোধ করেছেন তিনি।।

Assault hunger strike Jalpaiguri doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy