E-Paper

‘হামলা’, রক্ষা পেলেন নেতা 

জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এক জনের হয়ে সাক্ষী দেওয়ায় এলাকার দুষ্কৃতীরা তাকে মারতে বোমা ছোড়ে বলে এ দিন আজিবুর দাবি করেন।

অনুপরতন মোহান্ত

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৯
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের (আই এন টি টি ইউ সি) অঞ্চল সভাপতি প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তপনের রামপাড়াচেঁচরা অঞ্চলের মাগুরপুরে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৃণমূল নেতা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মাহমুদা খাতুনের স্বামী আজিবুর রহমান।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মজিবুর একটি দোকানের‌ সামনে বসে ছিলেন। সেই সময় মোটর বাইক ও টোটোয় চেপে এসে পাঁচ দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছোড়ে। গায়ে না লেগে কিছুটা দূরে একটি বোমা ফাটে, দু’টি ফাটেনি। শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।’’ ঘটনার পরেই অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে পালায়। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি ও পুলিশি টহল চলছে।

জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এক জনের হয়ে সাক্ষী দেওয়ায় এলাকার দুষ্কৃতীরা তাকে মারতে বোমা ছোড়ে বলে এ দিন আজিবুর দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন,‘‘দিন পনেরো আগে রবিউল, সরিফুল, আনারুল মিঁয়ারা মারধর করে চশমা ভেঙে দেয়। গত সপ্তাহে আমার ছেলের উপরে ওরা চড়াও হলেও বিষয়টিকে আমল দিইনি।’’ বৃহস্পতিবার বোমা ছোড়ার ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘‘স্থানীয় মইনুল ইসলামের সাড়ে ১৬ শতক জমি কেনেন দুখু মিয়াঁ। কিন্তু নথিতে ত্রুটি থাকার অভিযোগে দুখু ভূমি সংস্কার দফতরে নালিশ করেন। দুখুর কেনা ওই জমি লাগোয়া আমাদের (আজিবুর) জমি থাকায় দফতরের তদন্তে স্বামীকে ডাকা হয়।’’ আজিবুর সেখানে উপস্থিত হতেই মইনুলের পক্ষে ওই দুষ্কৃতীরা ‘সাক্ষী দেওয়া ঘুচিয়ে দেব’ বলে আজিবুরের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তার চশমা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলে মাহমুদা অভিযোগ করেন।

যদিও এই ঘটনাটিকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের‌ জের বলে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন। স্বরূপের দাবি, ‘‘সামনে বিধানসভা ভোট। তার আগে থেকেই এলাকা দখল রাখতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা মজুত করছে, ওই ঘটনা তার প্রমাণ।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেছেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এলাকার কিছু দুষ্কৃতী ওই ঘটনায় জড়িত বলে খবর পেয়েছি।’’ তাদের কেউ তৃণমূলের জার্সি পরে থাকলে, বরদাস্ত করা হবে না বলে সুভাষ এ দিন জানিয়েছেন। ওই অঞ্চলে দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস বলেন, ‘‘বোমা ছোড়ার সময় স্থানীয় লোক হামলাকারীদের কয়েক জনকে চিনতে পেরেছেন। পুলিশকে সেই সব বিষয়ে জানানো হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

INTTUC Leader Tapan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy