E-Paper

একুশে জুলাইয়ের লক্ষ্য পঁচিশ হাজার, কটাক্ষ বিজেপির

সূত্রের খবর, তার আগে অবশ্য ১৪ জুন কলকাতায় দলের বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ০৯:১২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

একুশে জুলাইকে সামনে রেখে ফের শক্তি প্রদর্শনে নেমে পড়ল কোচবিহার তৃণমূল। শাসক দল মনে করছে, এক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে, দল মজবুত হয়ে উঠবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ে এ বার কলকাতায় পঁচিশ হাজার লোক নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের শাসক দলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। আগামী ২১ জুন তা নিয়ে কোচবিহারে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোন অঞ্চলে বা ব্লকে কবে প্রস্তুতি বৈঠক হবে, কোথা থেকে কত কর্মী-সমর্থককে কী ভাবে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে।

সূত্রের খবর, তার আগে অবশ্য ১৪ জুন কলকাতায় দলের বৈঠকে যোগ দেবেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এ ছাড়াও ওই বৈঠকে থাকবেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহেরও থাকার কথা রয়েছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের কোনও সভাতেই যাওয়ার আগ্রহ নেই কারও। কলকাতা ঘুরিয়ে আনার টোপ দিয়ে লোক জোগাড়ের চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল।

তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ বলেন, ‘‘একুশে জুলাইয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গিয়েছে। প্রত্যেকটি জায়গায় বৈঠক হবে। সেই কর্মসূচি শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে। এ বার কোচবিহার থেকে রেকর্ড মানুষ একুশের সভায় যোগ দেবেন।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বিজেপির দাবিকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘একুশে জুলাই নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উন্মাদনা রয়েছে। সে কথা বিজেপি জানে। বিজেপি এখন লোক খুঁজে পায় না। সে জন্য কিছু বিভ্রান্তিকর কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝাতে চায়।’’ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখে শাসক ও বিরোধী দুই দল নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। দুই দলই নতুন করে কমিটি তৈরি, সক্রিয় কর্মীদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন ভোট না আসা পর্যন্ত টানা কর্মসূচি জারি রেখে কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছে দুই দল। তার মধ্যেই একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি ঘিরে তৃণমূল কর্মসূচি নিয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের শাসক দল দুর্নীতিতে তলিয়ে গিয়েছে। এখন জোর করে বিভিন্ন সভায় লোক নিয়ে যাচ্ছে। তাতে কিছু লাভ হবে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cooch Behar TMC BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy