নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নাবালিকার বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ির মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত নকশালবাড়ির রথখোলা এলাকায়। সেখানকার একটি পরিত্যক্ত হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে এক নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা ফরেনসিক দলেরও। ওই নাবালিকাকে একটি চায়ের দোকানে প্রায় দেখা যেত বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না ওই চায়ের দোকানের মালিকের।
মঙ্গলবার রাতে নকশালবাড়ির রথখোলা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত হোটেলের পাঁচিলের পাশে একটি বস্তা লক্ষ্য করেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা বস্তাটি থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়তে দেখেন। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। রক্তাক্ত বস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালিকার মৃতদেহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বয়স আনুমানিক ১৩-১৪ বছর। পরিত্যক্ত হোটেলটির পাশে একটি চায়ের দোকানে তাকে প্রায়ই দেখা যেত। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও তাকে সেই চায়ের দোকানে দেখা গিয়েছিল বলে দাবি। তাই ওই ঘটনায় চায়ের দোকানের মালিক জগদীশ ব্যাপারীর নামও উঠে আসছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার মাথার ডানদিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ লোপাট করতেই তা বস্তাবন্দি করে বন্ধ হোটেলের পাঁচিলের পাশে রেখে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাতের অন্ধকারে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ছিলেন অভিযুক্ত জগদীশ। তবে তার আগেই হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে আসে বিষয়টি।
ঘটনায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জগদীশের বাড়ি ভাঙচুর করতে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয় নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছে না জগদীশ এবং তার পরিবারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy