Advertisement
E-Paper

শহরে কুয়ো থেকে উদ্ধার খুলি ও হাড়

বিমলেশের দাবি, ১৩ জুন কুয়োর ভারী কিছু ফেলার আওয়াজ পেয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে এলে ওই পড়শিকে দেখতে পান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০২:১৯
উদ্ধার হওয়া খুলি ও হাড়। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার হওয়া খুলি ও হাড়। নিজস্ব চিত্র

শহরের একটি বাড়ির কুয়ো থেকে উদ্ধার হল খুলি ও হাড়। তার সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছে দড়িবাঁধা ইট এবং একটি চশমার ফ্রেম। সোমবার শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার ঘটনা। যে বাড়ির কুয়ো থেকে খুলি ও হাড় উদ্ধার হয়েছে তার মালিকের নাম বিমলেশ মৌলিক। তিনি শহরের পরিচিত কংগ্রেস নেতা। এ দিনের ঘটনার ক’দিন আগে বিমলেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে ১৩ জুন তাঁর বাড়ির কুয়োতে কোনও একটা ভারী জিনিস ফেলেছিলেন তাঁর পড়শি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন বিমলেশের বাড়িতে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। কুয়োয় তল্লাশি করে উদ্ধার হয় খুলি, হাড় ও চশমা।

বিমলেশের দাবি, ১৩ জুন কুয়োর ভারী কিছু ফেলার আওয়াজ পেয়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে এলে ওই পড়শিকে দেখতে পান। তাঁর দাবি, ওই পড়শি বলেছিলেন বাড়ির কার্নিশের কিছু অংশ ভেঙে কুয়োয় পড়েছে। এ দিন হাড় উদ্ধারের পরে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বিমলেশ।

পুলিশ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, খুলি এবং হাড় মানুষের কিনা। ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘অভিযোগ মিলেছে। খুলি এবং হাড়গোড় পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’

এ দিকে বিমলেশের মা শেফালিদেবী প্রায় দু’বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার পিছনে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই পেশায় পুলিশকর্মী ওই পড়শির সঙ্গে বিবাদ রয়েছে বিমলেশের। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির বাড়ি তৈরি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই ঝামেলা চলছিল কংগ্রেস নেতা বিমলেশের। বাড়ি তৈরির কাজে বাধা দেন ওই নেতা। পুরসভায় অভিযোগ করার পরে আদালতে একটি মামলাও করেন বিমলেশ। তারপরে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ রাখেন ওই ব্যক্তি। এরপর ২০১৭ সালে অগস্টে নিখোঁজ হয়ে যান শেফালিদেবী। বেশ কিছুদিন পরেও তাঁর হদিশ না পেয়ে ওই পড়শির বিরুদ্ধেই মাকে অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন বিমলেশ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমার মাকে খুন করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আমাদের ফাঁসাতে আমাদেরই কুয়োয় তা ফেলা হয়েছিল। আক্রোশের জেরেই আমার মাকে মারা হয়েছে।’’ কয়েকদিন ধরে ওই কুয়োর জল ব্যবহার করে গায়ে চুলকুনি হচ্ছিল বলে দাবি মৌলিক পরিবারের সদস্যদের।

বিমলেশবাবু যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি রেল পুলিশে কর্মরত। তাঁর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আছেন। সব অভিযোগ মনগড়া বলে তাঁদের দাবি। সময়মত সব অভিযোগের জবাব দেওয়া হবে বেল তিনি জানিয়েছেন।

Skulls Bones Well
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy