কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা। বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলার অভিযোগ কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিনহাটার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জনসংযোগ করতে এলাকায় যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয়ে পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। সে সময় উপস্থিত থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের উপর ঢিল ছোড়া হয়। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর নিরাপত্তারক্ষীরা নিশীথকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান।
এ নিয়ে নিশীথের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বাংলা এখন দুষ্কৃতীদের রাজত্ব হয়ে গিয়েছে। যে ভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা করছে, তা কখনও স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশ হতে পারে না।’’ তাঁর কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে নিশীথের সংযুক্তি, ‘‘বাংলার মানুষ দেখুন, কী চলছে।’’
গত ১১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে সভা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক রাজবংশী যুবকের বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় অভিষেক আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর ডেপুটি তথা ওই এলাকার সাংসদ নিশীথের দিকে। ঘটনাক্রমে তৃণমূল একটি কর্মসূচি নেয়। সেটি হল রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাওয়ের।
এর মধ্যে একটি হুইপ জারি করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। জানান, বিএসএফের গুলিতে মৃতের পরিবার যত দিন বিচার না পাবেন, তত দিন নিশীথ সিতাই এবং দিনহাটার কোনও ব্লকে সভা করতে এলে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে। একই সঙ্গে ওই এলাকাগুলিতে বিজেপি সভা বা কর্মসূচি করলে তৃণমূল বুথ সভাপতিকে অপসারণ করা হবে। কারণ, তাতে প্রমাণ হয় যে ওই বুথ সভাপতি নিজের এলাকায় দলের সংগঠন মজবুত করতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy