রিসর্টে পুলিশি হানা। নিজস্ব চিত্র।
নবান্নের নির্দেশ। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রসেনজিৎ রায়কে ধরতে শুক্রবার সকাল থেকে শহর জুড়ে তল্লাশি চালাল পুলিশ। ইস্টার্ন বাইপাস, শান্তিনগর এলাকায়ও প্রসেনজিতের খোঁজে যায় পুলিশ বাহিনী। স্থলবন্দরে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানা। তার প্রতিবাদে এ দিন এনজেপি স্টেশন চত্বরে কার্যত বন্ধ পালন করে প্রসেনজিতের লোকজন। দাবি, গায়ের জোরে এই বন্ধ হয়েছে এবং পিছনে প্রসেনজিতেরই নির্দেশ ছিল বলেও অভিযোগ। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেন যাত্রীরা। দীর্ঘ সময় এমন পরিস্থিতি ছিল। তৃণমূলের কোনও নেতাকে দেখতে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, মালবাজার থেকে প্রসেনজিৎয়ের এক সঙ্গী ধরা পড়েছে। তাঁর সঙ্গেই দুপুরে প্রসেনজিৎ শিলিগুড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, প্রসেনজিৎ অসমের দিকেও চলে যেতে পারেন। তাঁর
ঘনিষ্ঠ চার জন গ্রেফতার হয়েছেন মালবাজার থেকে।
স্থানীয় লোকেদের দাবি, সকাল ১১টা অবধি এনজেপি এলাকায় দেখা গিয়েছিল প্রসেনজিৎকে। সরকারি সূত্রে খবর, দুপুরের আগে পুলিশের কাছে নবান্নের তরফে প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করার নির্দেশ আসে। প্রসেনজিৎও সেই খবর পেয়ে যান বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই তিনি গা ঢাকা দেন। এনজেপি-র স্থানীয় সূত্রে দাবি, দলীয় কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন প্রসেনজিতের ঘনিষ্ঠরা স্টেশন চত্বরের সমস্ত গাড়ি, টোটো-অটো ও হোটলগুলিকে বন্ধ রাখতে বলেছিল। দোকান খুললেই হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ফলে ট্রেন থেকে নেমে বিপদে পড়েন এনজেপি আসা যাত্রীরা। গাড়ি ধরতে তাঁদের অনেকটা হেঁটে আসতে হয়। সিকিমে যাওয়ার জন্য স্টেশনে নামেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। প্রায় ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গাড়ি পাননি। বলেন, ‘‘গাড়ি ভাড়া করে এখান থেকে সিকিম যাব ভেবেছিলাম। এখন তো জংশন গিয়ে সেখান থেকে সিকিমের জন্য গাড়ি ধরতে হবে। সব হোটেলও বন্ধ। খাওয়ার পাইনি কিছু।’’ কলকাতায় আলোচনার জন্য গিয়েছিলেন মালবাজার, ডামডিমের তৃণমূল নেতারা। স্টেশনে নেমে গাড়ি না পেয়ে মোটা টাকায় গাড়ি ভাড়া করেন তাঁরা। জোর করে দোকানপাট বন্ধ করানোয় এ দিন তিন জনকে আটক করে এনজেপি থানার পুলিশ। প্রসেনজিতের প্রধান সাগরেদ সুশান্ত দাস ওরফে বাবুকেও আটক করে এনজেপি থানা। দুপুরের পর এনজেপি স্টেশনে যান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপরতন ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই ঘটনা। তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। মন্ত্রী এলে এই নিয়ে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy