Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: বন্দুক ঠেকালে রক্ত দেব! তবু বাংলা ভাগ হতে দেব না, উত্তরবঙ্গে চ্যালেঞ্জ মমতার

মুখ্যমন্ত্রীকে কোচ-কামতাপুরে পা ফেলতে ‘বারণ’ করেন কেএলও প্রধান। তাঁকে উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চ্যালেঞ্জ করলেন বন্দুক ঠেকিয়ে দেখাতে।

আলিপুরদুয়ারে মমতা।

আলিপুরদুয়ারে মমতা। ছবি: ফেসবুক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২২ ১৬:০৯
Share: Save:

আগেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। অন্য দিকে, কোচ-কামতাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পা ফেলতে ‘বারণ’ করেছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। মঙ্গলবার সেই আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়েই মমতা সাফ জানালেন, রক্ত দিতে রাজি। কিন্তু বাংলা ভাগ হতে দেবেন না।

মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে কর্মিসভায় মমতা বলেন, ‘‘রক্ত দেওয়ার জন্য তৈরি। বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে ভাগ করতে পারবেন? কেউ ব্যানার্জি তো কেউ চ্যাটার্জি, কেউ রায় তো দাস, কেউ আলম তো মাস্টার, কেউ মুণ্ডা তো কেউ সর্দার। কত মানুষ কত ধর্ম। আমরা সবাই এক হয়ে থাকব।’’

মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই গোপন ডেরা থেকে ভিডিয়ো বার্তা দেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। সেই বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ-কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ-কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না। বলপূর্বক কিছু করতে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন উৎসর্গ করে দেব। রক্তের বন্যা বইয়ে দেব।”

আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে নাম না করলেও ওই প্রসঙ্গ টেনেই প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘কাজ নেই কর্ম নেই, আমাকে ভয় দেখাচ্ছে।’’ এর পর তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমাকে ভয় দেখাচ্ছে ভাগ না করলে (উত্তরবঙ্গ) নাকি আমাকে মেরে দেবে! তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বুকে বন্দুক ঠেকাও। আমি অনেক বন্দুক দেখে এসেছি। আমাকে এ সব বন্দুক-টন্দুক দেখিয়ো না।’’

মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপির প্রশ্রয়ে এসব হচ্ছে। ভোট এলে ওরা এই ভাগাভাগির কথা বলে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee TMC BJP KLO North Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE