Advertisement
E-Paper

‘সার্কিট’ নয়, স্থায়ী বেঞ্চের আর্জি উত্তরে

প্রধান বিচারপতির পরিদর্শনের পরেই উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হবে। হাই কোর্ট প্রশাসন সূত্রে খরব, মে মাসেই স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে।

হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। জলপাইগুড়ি।

হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। জলপাইগুড়ি।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:১১
Share
Save

আগামী মাসেই উদ্বোধন হতে পারে জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে উদ্বোধন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ৮ মে রাজ্যের থেকে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের দায়িত্বভার নিয়ে হেবে হাই কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনমের উপস্থিতিতে দায়িত্বভার হস্তান্তর হবে। সূত্রের খবর, সে দিনেই জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনে নিজের এজলাসে বসবেন প্রধান বিচারপতি। প্রশাসনিক ভাবে সে দিনই স্থায়ী ভবনে প্রথম অফিস করবেন তিনি।

এ দিকে নতুন ভবনে ‘সার্কিট’ নয়, হাই কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ চাইছে আইনজীবীদের একাংশ। রাজ্য বার কাউন্সিল সদস্য গৌতম দাস বলেন, “সার্কিট বেঞ্চ হল নিজস্ব ভবন না থাকা পর্যন্ত একটি অর্ন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা। নবনির্মিত ভবনের শিলান্যাসের সময়ে হাই কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ঘোষণা করেছিলেন, জলপাইগুড়িতে হাই কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চের শিলান্যাস করা হল। তা হলে কেন ফের সেই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের কথা বলা হচ্ছে? পাহাড়পুরের হাই কোর্টের নিজস্ব ভবন তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে হাই কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ শুরুর পরিকাঠামো রয়েছে। তা হলে আবার সার্কিট কেন, হাই কোর্টের উত্তরবঙ্গের স্থায়ী বেঞ্চ কেন শুরু হবে না?”

প্রধান বিচারপতির পরিদর্শনের পরেই উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হবে। হাই কোর্ট প্রশাসন সূত্রে খরব, মে মাসেই স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন হয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সাল থেকে জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে মামলার সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছুঁতে চলেছে। সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন হলে মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাতে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার কথা। এই তিন জেলা অর্ন্তভুক্ত হলে মামলার সংখ্যা অন্তত তিরিশ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গৌড়বঙ্গের বাসিন্দাদেরও মামলার জন্য কলকাতায় যেতে হবে না। আপাতত অবশ্য স্থায়ী ভবনে চারটি বেঞ্চেই মামলা শোনা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

সার্কিট বেঞ্চের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, “অন্তত ছয়টি এজলাসে স্থায়ী ভবনের কাজ হোক, এমনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঠিক কী ভাবে কাজ শুরু হবে, তা আমাদের কাছেও পরিষ্কার নয়।”

জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে পাঁচতলা ভবন সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে। তোরণও তৈরি হচ্ছে। প্রধান বিচারপতির পরিদর্শনের আগে ভবনের বাইরের রঙের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা পূর্ত দফতরের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}