E-Paper

জলজীবন মিশনের কাজ ঢিমেতালে চলছে জেলায় 

রাজ্য ও কেন্দ্রের ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দে ২০২০ সালে জেলায় ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

গত ডিসেম্বরে উত্তর দিনাজপুরের ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পে পঞ্চায়েত এলাকায় পাইপ লাইনে জল সরবরাহ হওয়ার কথা। নির্দিষ্ট সময়সীমার পরে দেড় মাস কেটে গেলেও এখনও জেলায় প্রকল্পের কাজ ৪০ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়। ওই সময়ে কাজ শেষ করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে।

রাজ্য ও কেন্দ্রের ১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দে ২০২০ সালে জেলায় ‘জলজীবন মিশন’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ওই প্রকল্পে গত ডিসেম্বরের মধ্যে নয়টি ব্লকের ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ লক্ষ ৮১ হাজার বাড়িতে পাইপ লাইনে পানীয় জল পৌঁছনোর কথা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অভাবে এখনও পর্যন্ত জেলায় ২ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি বাড়িতে ওই পরিষেবা পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত ৩০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য জানান, বিভিন্ন ধাপ অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্রের ৫০ শতাংশ করে বরাদ্দ টাকায় জেলায় ওই প্রকল্পের কাজ চলছে। অনিরুদ্ধ বলেন, “গত অক্টোবর থেকে প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ মিলছে না। তাই জেলায় ঢিমেতালে কাজ চলছে। কেন্দ্রের বরাদ্দ অনিয়মিত থাকলে এ বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা মুশকিল।”

গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে জেলায় ওই প্রকল্পের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত শতাধিক ঠিকাদারদের প্রায় ১৩০ কোটি টাকার বিল আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার ওয়েস্ট দিনাজপুর কন্ট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার ও জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনার কাছে ত বিল মেটানোর দাবি করা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের গভর্নিং বডির সদস্য তপন মজুমদার ও কার্যনির্বাহী সদস্য অজিত প্রামাণিকের দাবি, ঠিকাদারেরা বকেয়া না পেলে আর্থিক সঙ্কটে জেলা জুড়ে ঢিমেতালে চলতে থাকা এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হবে। অনিরুদ্ধ বলেন, “অ্যাসোসিয়েশনের দাবিপত্র কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বিজেপি সাংসদ কার্তিকচন্দ্র পাল মন্তব্য করতে চাননি। সাংসদের কার্যালয়ের পক্ষে বিষয়টি ‘খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে জানানো হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

North Dinajpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy