তাপমাত্রা ব্যাপক হারে কমেছে জলপাইগুড়িতে। —ফাইল চিত্র
বলিউডের গানে ‘দিল্লি কে সর্দি’ বহুল শোনা যায়। সেই দিল্লিকেও এবার দিনের তাপমাত্রার নিরিখে পিছনে ফেলেছে জলপাইগুড়ি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ফিরে যাওয়ার পরে শীতের দাপট তাপমাত্রার ‘স্কোরবোর্ড’ উল্টেপাল্টে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সফদরজঙে (নতুন দিল্লি) শনিবার দিনের তাপমাত্রা তথা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৫ ডিগ্রি। সেখানে জলপাইগুড়ি ১৪ ডিগ্রি। আবহাওয়াবিদদের দাবি, সাধারণত এমনটা দেখা যায় না। পাহাড়ি এলাকা বাদ দিলে উত্তরবঙ্গের সমতলের তুলনায় দিল্লিতে ঠান্ডা বেশিই থাকে। গত কয়েকদিন ধরেই অবশ্য উত্তরের আকাশ মেঘে-কুয়াশায় ঢাকা। শিলিগুড়ি-কোচবিহারে মাঝেমধ্যে রোদের দেখা মিললেও জলপাইগুড়িতে কুয়াশাতেই ঢাকা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে যাওয়ার পর থেকেই উত্তরবঙ্গ কনকনে হতে শুরু করেছে। সিকিমের উঁচু অংশে তুষারপাত চলছে। আরও কয়েকদিন এই পরিস্থিতি থাকবে। এ বছর শীতের প্রকোপ তুলনায় আগে শুরু হয়েছে।”
আগে আসা শীত উলটেপালটে দিয়েছে আবহাওয়ার সব প্রত্যাশিত হিসেব-নিকেষ। জলপাইগুড়িতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ১২ ডিগ্রি। যা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিরও ব্যতিক্রম বলে দাবি করা হচ্ছে। কনকনে হাওয়া এবং রোদ না ওঠা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রাকে প্রায় মিলিয়ে দিয়েছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক ছিল মাত্র ৩ ডিগ্রি। দুই তাপমাত্রা মিলে যাওয়ার প্রবণতা আবহাওয়ায় চরম পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে আবহাওয়াবিদদের দাবি।
আবহাওয়া দফতরের পরিভাষায় জলপাইগুড়িতে এখন ‘কোল্ড ডে’ অর্থাৎ শীতল দিন চলছে। শীতকালে কোনও এলাকার দিনের তাপমাত্রা অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সাড়ে ৫ ডিগ্রি কমে গেলে শীতল দিন ধরা হয়।
জলপাইগুড়িতে দিনের তাপমাত্রা কমেছে ১২ ডিগ্রিরও বেশি। টানা তিনদিন ধরেই চলছে এই পরিস্থিতি। আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন এই পরিস্থিতি সাম্প্রতিক কালে বিরল। সাধারণত জলপাইগুড়িতে ডিসেম্বর মাসে দিনের তাপমাত্রা থাকার কথা ২৭ ডিগ্রি। গত কয়েকদিন ধরে তা কমে দিনের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রির মধ্যে। যা অতি বিরল বলেই আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy