স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ‘শ্বশুরবাড়ি’র সামনে ধর্না কিংবা প্রেম ফিরে পিতে প্রেমিক বা প্রেমিকার ভিটের সামনে ধর্না আকছার দেখা যায়। কিন্তু জমির দখল নিতে সপরিবারে তাঁবু খাটিয়ে ধরনা সম্ভবত এই প্রথম হল। ঘটনাস্থল কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমার ২ নম্বর লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের বৌলপাড়ি গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তুতো ভাইদের মধ্যে জমি বিবাদের সমাধান করতে সালিশিসভা বসেছিল। সুরাহা হয়নি। ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’ ছাড়তে রাজি নয় কোন পক্ষ। জমির দখল ধরে রাখতে তাঁবু খাটিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে নিতে ধর্নায় বসলেন দুই ভাই চন্দন বর্মণ এবং বিনোদ বর্মণ। সেখান থেকে তাঁদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁদের পিসতুতো ভাই কার্তিক বর্মণ।
চন্দন এবং বিনোদের দাবি, ৩৫ বছর আগে তাঁদের বাবা ওই জমিটি কিনেছিলেন। কিন্তু পিসতুতো ভাই ওই জমির দখল নিয়েছিলেন। পাল্টা কার্তিক জানাচ্ছেন, জমিটিতে কিনেছিলেন তাঁর বাবা। মামাতো ভাইয়েরা অন্যায় করছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি বলে দিচ্ছি, জমির দাগ নম্বর ২৩, দলিলে চৌহদ্দিও করা রয়েছে। অন্যায় ভাবে মামাতো ভাইয়েরা জমিতে বসে আছেন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করব।’’ কার্তিক আরও বলেন, ‘‘মামাতো ভাইয়ের ৪৫ শতক জমি রয়েছে বটে। সেটি এই জমির পূর্ব প্রান্তে। তারা ওই জমি নিলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’’
আরও পড়ুন:
চন্দনের মন্তব্য, ‘‘এর আগেও আমরা জমিতে খুঁটি পুঁতে জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। সেই খুঁটি তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে জমির কাগজ রয়েছে। তাই ধর্নায় বসেছি। এর আগে সালিশি সভা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। দেখা যাক, কত দিন ধর্নায় বসতে হয়। আমরা আমাদের জমি ছাড়ব না।’’
এ নিয়ে মাথাভাঙা-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মণ বলেন, ‘‘জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের একটি বিষয় জেনেছি। খোঁজখবর করছি। আগামিদিনে যাতে ন্যায়বিচার হয়, তার ব্যবস্থা করব। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিএলআরও-র সঙ্গে কথা হয়েছে। সোমবার অফিস খুললে আলোচনায় বসব।’’