Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
Coronavirus in North Bengal

আর এক রোগীর মৃত্যু সারি-তে

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক চিকিৎসককে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:২১
Share: Save:

শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক রোগী রবিবার রাতে মারা গিয়েছিলেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। ওই দিনই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এ দিনই রাতে সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। এ দিনই রাতে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে যখন দেরি সেই সময়ে মৃতদেহটি দীর্ঘ সময় ওয়ার্ডে ফেলে রাখা হয়। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রবণনগরের বাসিন্দা একাত্তর বছরের ওই বৃদ্ধা। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগেও ভুগছিলেন বলে এলাকার কাউন্সিলর নিখিল সহানি জানান।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক চিকিৎসককে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক। ইসলামপুরের এক রোগীকেও আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি অন্য রোগ নিয়ে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিলেন। পরে তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়।

এর আগেও কাওয়াখালির সারি কেন্দ্রে রোগীর মৃত্যু হলে মৃতদেহ ২৭ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি। ঠিক মতো পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে ভাঙচুর চলে বলে দাবি। সেই ঘটনার পিছনে রোগীদের একাংশ ছিল বলেও অভিযোগ। মাটিগাড়ায় কোভিড হাসপাতালে দুই নার্স এবং তাঁদের এক জনের পরিবারের তিন জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের পাঁচ জনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ জনের লালারস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। দু’জনের নমুনা পজিটিভ রয়েছে বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বলছে স্বাস্থ্য দফতরের সূত্র। রাতে মালদহ থেকে করোনা পজিটিভ এক রোগীকে এই হাসপাতালে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে কোভিড হাসপাতাল না-থাকাতেই তাঁকে এখানে আনা হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in North Bengal Death SARI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE