কোটা-ফেরত কোচবিহারের পড়ুয়াদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করল স্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসন ও সবাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের কোটা থেকে ফেরার পর ওই পড়ুয়াদের শহরের দুটি পৃথক ভবনে রাখা হয়। তার মধ্যে মদনমোহন মন্দির সংলগ্ন একটি ভবনে ছাত্রদের রাখা হয়। সাগরদিঘি লাগোয়া একটি প্রশাসনের আওতাধীন একটি ভবনে ছাত্রীদের রাখা হয়। মঙ্গলবার দুই জায়গাতেই গিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ দলের সদস্যেরা তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কোচবিহারে পৌঁছন ওই পড়ুয়ারা। তাঁদের সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবকও একই বাসে জেলায় ফিরেছেন। সেদিনই তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, কোনও পড়ুয়াকেও ঘোষিত সরকারি কোয়রান্টিনে না রেখে পৃথক অতিথি নিবাসে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। অভিভাবকদেরও একই ভাবে আলাদা ভবনে রাখা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এ দিন ওই অভিভাবকদেরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, ফেরার পরেই তাঁদের জানানো হয়েছিল কোটা থেকে রওনা হওয়ার পাঁচদিনের মাথায় ওই পড়ুয়াদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সেইমতো এ দিন সকালে নমুনা সংগ্রহ হয়। কোটা থেকে ফেরা এক ছাত্রীর কথায়, “সকাল ৬টা নাগাদ স্বাস্থ্যকর্মীরা লালারসের নমুনা নিয়ে গিয়েছেন। এখন আমরা সবাই রিপোর্টের অপেক্ষা করছি।”
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ওই পড়ুয়াদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হবে। মঙ্গলবার রাত বা বুধবারের মধ্যে সবার রিপোর্ট চলে আসবে বলে আশা করছি।” এক অভিভাবকের কথায়, “কোচবিহারে এখনও যাঁদের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সবই নেগেটিভ এসেছে। এ দিনের সব নমুনা নেগেটিভ হবে বলে আশা করছি।” অন্য এক অভিভাবকের বক্তব্য, রিপোর্ট নেগেটিভ এলে মেয়েকে বাড়িতে রাখার সুযোগ মিলবে বলে আশা করছি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কোটার পড়ুয়া ও অভিভাবক মিলিয়ে মোট ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কোচবিহার জেলার এক হাজারের বেশি নমুনা রিপোর্টের সব নেগেটিভ মিলেছে। কারও সংক্রমণ নেই।