প্রতীকী ছবি
বৃষ্টির সময় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে পৌনে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হন তার দাদু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম উজ্বল হরিজন। বাড়ি রায়গঞ্জ থানার ভগিলতা লাগোয়া সনগাঁ এলাকায়। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে উজ্বল তার মা গীতার সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ থানার দাসিয়া এলাকায় মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সেখানেই দেওয়াল চাপা পড়ে জখম হয় উজ্বল ও তার দাদু বিমল বৈশ্য। ৫০ বছর বয়সী বিমলের বুকে আঘাত লেগেছে।
বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মাথা, বুক-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের জেরে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
উজ্বলের বাবা বুধু উত্তরপ্রদেশে দিনমজুরির কাজ করেন। লকডাউনের জেরে তিনি সেখানে আটকে পড়েছেন। মা গীতা গৃহবধূ। উজ্বলের মামা বিশ্বজিতের দাবি, লকডাউন শুরু হওয়ার আগে উজ্বল-সহ দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন গীতা। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় তাঁদের বাড়ির একটি মাটির ঘরে খেলছিল উজ্বল। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিমল। আচমকা ওই ঘরের একাংশের মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে উজ্বল। বিমলের আঘাত লাগে। পরিবারের লোকেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উজ্বলকে কালিয়াগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন। সন্ধ্যায় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জেলা পরিষদের সহকারী মেন্টর অসীম ঘোষের বক্তব্য, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তার পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy