মোহন বসু
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাঁকে ছাড়াই পুরভোটে লড়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলা তৃণমূল। দলের সাংগঠনিক নেতৃত্ব থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর নিজের ওয়ার্ডেই অন্য কাকে দলের প্রার্থী করা যায় তা নিয়ে চর্চা চলছিল জেলা তৃণমূলে। এখন করোনা সংক্রমণের জেরে পুরভোট আপাতত অনিশ্চিত। লকডাউনের সময়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে পুরপ্রশাসনে সক্রিয় হচ্ছেন টানা সতেরো বছর ধরে জলপাইগুড়ির পুরসভায় চেয়ারম্যান থাকা মোহন বসু। শহরে লকডাউন ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না অভিযোগ করে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে তিন দিন আগে চিঠিও লিখেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন তিনি।
চেয়ারম্যান সক্রিয় হতেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীও পাল্টা চাপ তৈরি করতে শুরু করেছে। গত বুধবার পুরসভাতেই এক সরকারি আধিকারিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, বিল না মেটালে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ফেরত চলে যাবে জানতে পেরে কিছু এজেন্সিকে পাওনা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। তাঁর বিরোধিতা করেন চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সরকারি আধিকারিককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরে পাওনা মেটানোর তালিকায় আরও কিছু এজেন্সিকে অর্ন্তভুক্ত করা হয় বলে খবর। যদিও সৈকত এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। চেয়ারম্যানও বলেন, “আমার কাছে সরকারি ভাবে কোনও অভিযোগ আসেনি।”
মোহন বসু অসুস্থ হওয়ার পরে তৃণমূলের কিছু পুরনো কাউন্সিলরদের মধ্যে চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে দৌড় শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতি শুরু হতেই পুরসভার বিভিন্ন কাজকর্মে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকতকে। মোহন অবশ্য রাজনৈতিক টানাপড়েনের কথা অস্বীকার করে বলেন, “শহরবাসী যাতে পুরপরিষেবা যথাযথ পান, সেই চেষ্টাই আজীবন করেছি।’’ সৈকতও বলেন, “এখন রাজনীতি নয়। মানুষের পাশে থাকাটাই একমাত্র কাজ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy