E-Paper

মিশন-কাণ্ড নিয়ে প্রশ্নে ‘বাধা’, ওয়াকআউট পুরসভায়

এ দিন সভায় সিপিএম পুরপ্রতিনিধি শরদিন্দু তাঁর প্রশ্ন বলতে উঠলে চেয়ারম্যান জানান, যে ভাবে প্রশ্ন জমা দিয়েছেন তার সবটা বলা যাবে না। ‘মিউটেশন’ নিয়ে প্রশ্নটি শুধু বলতে পারেন শরদিন্দু।

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ০৮:৩০
রামকৃষ্ণ মিশনের এই বাড়িতেই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

রামকৃষ্ণ মিশনের এই বাড়িতেই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। —ফাইল ছবি।

সেবকে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল করতে বহিরাগতদের ‘হামলা’ এবং কেন মিশনকে ‘মিউটেশন’ দিতে ‘দেরি’ হল তা নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড-বৈঠকে প্রশ্ন তুলতে গিয়েছিলেন বাম পুরপ্রতিনিধি শরদিন্দু চক্রবর্তী। চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী তা কাটছাঁট করে ‘প্রশ্ন’ পর্বে বলতে অনুমতি দেন। মঙ্গলবার সভায় তা নিয়ে হইচই বাধে। বিষয়টি বিশদে বলতে না দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ‘ওয়াক-আউট’ করেন সিপিএমের পুরপ্রতিনিধিরা। চেয়ারম্যানের জবাব, ‘‘নিয়ম আমি জানি। প্রশ্ন কাটছাঁট করে যেটুকু প্রাসঙ্গিক তা বলতে বলা হয়েছিল।’’

এ দিন সভায় সিপিএম পুরপ্রতিনিধি শরদিন্দু তাঁর প্রশ্ন বলতে উঠলে চেয়ারম্যান জানান, যে ভাবে প্রশ্ন জমা দিয়েছেন তার সবটা বলা যাবে না। ‘মিউটেশন’ নিয়ে প্রশ্নটি শুধু বলতে পারেন শরদিন্দু। কাউন্সিলর বলতে শুরু করেন, মেয়র এবং বর্তমান বোর্ডের কর্তারা মিশনের হাতে সেবক হাউসের মিউটেশন এবং হোল্ডিংয়ের নথি তুলে দিলেও, মিশন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন, মিউটেশনের জন্য তাঁদের বার বার ঘুরতে হয়েছে। এর পরেই চেয়ারম্যান তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘‘এ সব বলা যাবে না।’’

এর পরেই হইচই শুরু হয়। চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে শরদিন্দু প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন বলা যাবে না? আপনি গত সোমবার ফোন করেও বলেছেন, উচ্ছেদ নিয়ে বলা যাবে না। তা হলে আমি বোর্ড মিটিংয়ে থাকবই না। প্রতিটি বোর্ড সভায় যে ভাবে কণ্ঠরোধ করছেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন। খুশি মতো চালাচ্ছেন।’’ এর পরেই সিপিএম সদস্যেরা ‘ওয়াকআউট’ করেন।

বেরনোর সময় সিপিএমের পরিষদীয় নেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বোর্ডে বলতে না দিলে আমরা বাইরে বলব। বেআইনি ভাবে চালাচ্ছেন।’’

মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘চেয়ারম্যান বলে দিয়েছিলেন প্রশ্নটা কেমন হবে। চেয়ারম্যানের সে অধিকার রয়েছে। প্রশ্নের জায়গায় অনেকটা বড় বক্তব্য ছিল। প্রশ্ন নির্দিষ্ট হবে। মনগড়া কথা দিয়ে প্রশ্ন জমা করেছেন।’’ তিনি জানান, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ১.৫৯ একর জমির সঙ্গে একটা বাড়ি এক জন দান করেন মিশনকে। মিশন কর্তৃপক্ষ গত ৩০ এপ্রিল মিউটেশনের জন্য আবেদন করেন। ১০ মে শুনানি করে তাঁদের হলফনামা নেওয়া হয়। যিনি দান করেছেন, তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্র দিতে বলা হয়। সে শংসাপত্র তাদের কাছে না থাকায় পুরসভা ‘সার্চ’ করে বার করেছে। মেয়র আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মিশনের কাজ অগ্রাধিকার দিয়ে করতে হবে। সেই মতো সমস্ত প্রক্রিয়া করে তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে।

এ দিন স্টেশন ফিডার রোডে ফুড-স্ট্রিটের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri Municipal Corporation Ramakrishna Mission Siliguri Gautam Dev

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy