সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ধূপগুড়ি থানার আইসি। —নিজস্ব চিত্র।
মা গত হয়েছিলেন আগেই। কিছু দিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাবার। অকূলপাথারে পড়া তিন নাবালককে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ধূপগুড়ি থানার আইসি-সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস।
ধূপগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন দিলীপ রায়। কিছু দিন আগে ওই গ্যারাজকর্মীর মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়। স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন আগেই। ফলে তিন নাবালক সন্তান অসহায় হয়ে পড়ে। সেই খবর পেয়ে তিন ভাইবোনের সঙ্গে দেখা করেন ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা। তাদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। তিন ভাইবোনের হাতে বই, খাতা, স্কুল-ব্যাগ-সহ কিছু নগদ টাকা তুলে দেন তিনি। পরে কোনও রকম সমস্যা হলে তিন নাবালককে সাহায্যের আশ্বাস দেন।
তিন ভাইবোনের মধ্যে বড় সঞ্জীব। তার কথায়, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি। তার মধ্যে বাবা পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন। কী ভাবে তিন জনের চলবে, দুশ্চিন্তায় ছিলাম। শনিবার ধূপগুড়ি থানার আইসি এবং পুলিশ আধিকারিকরা বই-খাতা কিনে দিয়ে গেলেন। নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বলেছেন, যে কোনও রকমের সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাঁদের জানাতে। আমরা খুব খুশি এই আশ্বাসে।’’
থানার আইসির কথায়, ‘‘পুলিশ সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকে। এই তিন নাবালকের দুরবস্থার কথা জানতে পারি। তাই ওদের বাড়িতে এসে দেখা করেছি। সামান্য কিছু সাহায্য করেছি এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy