Advertisement
E-Paper

মুখোশে পরেই হলে পরীক্ষার্থীরা

হংকং মার্টেকের ব্যবসায়ীদের একাংশ জানায়, পড়ুয়ারা অনেকেই সাধারণ মাস্ক কিনে নিয়ে যাচ্ছে। মাস্ক বিক্রি আগের চেয়ে বেড়েছেও। অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে।   

সৌমিত্র কুণ্ডু 

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৩
 নিরাপদে: সাবধানের মার নেই।  করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক পড়ে পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নিরাপদে: সাবধানের মার নেই। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পরীক্ষা কেন্দ্রে মাস্ক পড়ে পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

করোনার ছায়া এবার উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রেও। শিলিগুড়িতে পরীক্ষার্থীদের একাংশ বৃহস্পতিবার প্রথম দিন মুখোশ পরে পরীক্ষা দিতে আসে বিভিন্ন কেন্দ্রে। এ দিন শিলিগুড়ির নীলনলিনী স্কুল, শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল, শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল, শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরের মতো পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীদের একাংশকে মাস্ক পরে আসতে দেখা গিয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অনেকেই যে বিষয়টি নিয়ে সচেতন, তা এ দিনের এই ঘটনায় স্পষ্ট। স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে জানানো হয়েছে, কারও হাঁচি, কাশি, সর্দি-জ্বরের জন্য অন্য পরীক্ষার্থীদের সমস্যা যাতে না-হয়, সে জন্য এই পরিস্থিতিতে আলাদা ‘সিক রুম’-এর ব্যবস্থা করতে হবে।

শিলিগুড়ির স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাজীব প্রামাণিক বলেন, ‘‘পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে সিক রুমের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। কাশি, জ্বর নিয়ে কেউ এলে সেখানে যাতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায়, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। আলাদা ইনভিজিলেটর এবং পুলিশি নিরাপত্তাও রাখতে বলা হয়েছে সেই ঘরগুলির জন্য।’’

দেশের কয়েকটি জায়গায় করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর পর সচেতনতায় জোর দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির মতো এলাকায় নেপাল সীমান্তে হেল্থ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নীলনলিনী স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা সেন্টার ইনচার্জ রামানন্দ বর্মণ বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে অনেক পরীক্ষার্থী এ দিন মাস্ক পরে এসেছিল। তারা করোনা নিয়ে সচেতন বলেই মনে হয়েছে। তবে পরীক্ষার মধ্যে আমাদের পক্ষে বাড়তি কোনও সচেতনতার প্রচার করা সম্ভব হয়নি।’’ যদিও শিক্ষকমহল মনে করছে, প্রচার না হলেও করোনা নিয়ে পড়ুয়ারা যথেষ্ট সতর্ক। এ দিন শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির, নীলনলিনী স্কুলে রাজু হালদার, বিজয় গায়েন, রহিত রায়, জোৎস্না রায়দের মতো পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে দেখা গিয়েছে। রাজু, বিজয়রা বলে, ‘‘করোনা নিয়ে ভয় তো রয়েইছে। সে কারণে সতর্ক থাকটা জরুরি। তাই মাস্ক ব্যবহার করছি।’’ তবে এ ধরনের মাস্ক করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার জরুরি। তবে সব সময় বা সব ক্ষেত্রে ওই মাস্ক ব্যবহারের মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি। হাটে-বাজারে, স্কুলে, কলেজে এন-৯৫ মাস্ক কেউ ব্যবহারও করছেন না। করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তাদের কাছে যাওয়া এ সব কারণে ওই মাস্ক, পার্সনাল প্রোটেকটেড গাউন ব্যবহার করা জরুরি। বিবেকানন্দ স্কুলের ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বিশাল পান বলেন, ‘‘সাধারণ মাস্কে করোনা প্রতিরোধ হয় না। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই ব্যবহার করছি।’’

হংকং মার্টেকের ব্যবসায়ীদের একাংশ জানায়, পড়ুয়ারা অনেকেই সাধারণ মাস্ক কিনে নিয়ে যাচ্ছে। মাস্ক বিক্রি আগের চেয়ে বেড়েছেও। অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও মাস্ক পরে থাকতে দেখা গিয়েছে।

Coronavirus ,mask higher secondary examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy