বিমানবন্দরের সামনে যাত্রীদের ভিড় তখন। —নিজস্ব চিত্র।
মেরামত করা হল বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়ে। প্রায় আট ঘণ্টা বাদে আবারও উড়ান শুরু হল উত্তরবঙ্গের ওই বিমানবন্দর থেকে। উড়ান চালু হওয়ার খবরে স্বস্তিতে বিমানবন্দরে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে আটকে থাকা যাত্রীরা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দু’টি বিমান অবতরণের পর বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল ধরা পড়ে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর ওই রানওয়ে মেরামতির কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চলে মোরামতির কাজ। এর পর বিকেল ৫টা নাগাদ শুরু হয় বিমান ওঠানামা। উড়ান চালু হওয়ার কথা জানিয়েছেন বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা পি সুব্রণ্যম। এর মাঝে অবশ্য ওই বিমানবন্দরে নামতে চাওয়া একাধিক বিমানকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রানওয়ে ছেড়ে ওড়েনি কোনও বিমানও। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রানওয়েতে ফাটল ধরা পড়ে।
মঙ্গলবার এই বিপত্তির জেরে দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। সকাল থেকে যাত্রী ভিড় দেখা গিয়েছে বিমানবন্দর চত্বরে। যাত্রীদের অনেককেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায়। সিকিমের গ্যাংটকে ঘুরতে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক। তাঁদের মধ্যে এক জন আহত। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছে ওই দলটি জানতে পারে উড়ান বন্ধ। ঋত্বিকা সূত্রধর নামে সেই আহত পর্যটকের কথায়, ‘‘গ্যাংটকের রাস্তায় পড়ে গিয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়েছি। বিমানবন্দরের সামনে যখন পৌঁছই তখন জানতে পারি উড়ান বাতিল হয়েছে। বহুবার হুইল চেয়ারের জন্য আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ঠায় রোদের মধ্যে বসে থাকতে হয়েছে।’’ সঞ্জয় শর্মা নামে আর এক যাত্রীর বক্তব্য, ‘‘এত রোদ-গরমে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কর্তৃপক্ষ কোনও সাহায্য করছেন না। শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকরাও রয়েছেন। বহু কষ্টে তাঁদের জন্য চেয়ার জোগাড় করতে পেরেছি। সমস্যা হতে পারে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের ন্যূনতম যাত্রী পরিষেবা দেওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy