Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
rape

Rape: মালদহে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, একঘরে করারও অভিযোগ

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানায় না গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারকে বিষয়টি সালিশি সভায় মিটিয়ে নিতে বলা হয়।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২১ ১০:১৭
Share: Save:

মালদহে প্রতিবেশী যুবকের লালসার শিকার অষ্টম শ্রেণির কিশোরী। নির্যাতিতার অভিযোগ, গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয় তাকে। কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহলে অভিযুক্তের ওঠাবসা থাকায় গ্রামে মেয়েটির পরিবার একঘরে হয়ে ঘিয়েছে বলেও অভিযোগ।

মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ওই নির্যাতিতা কিশোরীর। মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি, গল্প করবে বলে অভিযুক্তের দিদি কিশোরীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। তার পর দিদার বাড়ি যাওয়ার ছুতোয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। কিশওরীর দাবি, তার পরই অন্য ঘর থেকে বেরিয়ে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করে। কারও কাছে ফাঁস করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।

সম্প্রতি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। কিন্তু গ্রামের কিছু প্রভাবশালী এবং তৃণমূলের লোকজন সালিশি সভায় বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাপ দেন বলে অভিযোগ ওই পরিবারের। কিন্তু সালিশি সভায় অভিযুক্তকে আড়াল করা হয় এবং তাদের একঘরে করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয় বলেও অভিযোগ।

সম্প্রতি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পরে রবিবার সন্ধ্যায় হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। তাতে পুলিশ নড়েচড়ে বসলেও অভিযুক্ত যুবক গা ঢাকা দিয়েছে।

অভিযুক্ত যুবকের মা বলেন, ‘‘ছেলে বাড়িতে নেই। ও ঘটনায় জড়িত থাকলে ওই কিশোরীর দায়িত্ব নেব আমরা।’’

অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ সমস্ত ঘটনাই খতিয়ে দেখছে।’’

তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে। তৃণমূলের লোকজনই অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপি-র। মালদহ বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক কিসান কেদিয়া বলেন, ‘‘এলাকায় মেয়েদের কোনও সুরক্ষা নেই। শাসকদল এখন ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করছে।’’ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান বলেন, ‘‘ওই বুথে সকলেই বিজেপি। তৃণমূলের নাম করে বাঁচতে চাইছে। এমন জঘন্য অপরাধকে তৃণমূল কখনও প্রশ্রয় দেয় না এবং দেবেও না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE