Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জট কাটাতে আর্জি জানাল প্রশাসন

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে শুনানি হয়। এ দিনের শুনানিতে ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা এসেছিলেন।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০৬:০৭
Share: Save:

জমি জট কাটাতে এ বার মরিয়া আবেদন জানাল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জমিদাতাদের ডেকে প্রশাসনের তরফে বলা হল, ক্ষতিপূরণের হার নিয়ে আলোচনা চলুক, সেই সঙ্গে জমিতে জাতীয় সড়ক তৈরির কাজও হতে থাকুক। আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থেকে সময় ‘নষ্ট’ হওয়া আটকাতেই এই আবেদন প্রশাসনের, মনে করছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের হার নিয়ে বিবেচনার জন্য ২০ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কের বাগডোগরা থেকে জলপাইগুড়ি পর্যন্ত অংশের কাজের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখছে কলকাতা হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল দ্রুত এই অংশের কাজ সেরে ফেলতে হবে। তার পরেও কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় চলতি মাসেই একটি শুনানিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কাজ নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। হাইকোর্টে ধমক খেয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে শুনানি হয়। এ দিনের শুনানিতে ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা এসেছিলেন। এখানে প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার অংশে রাস্তা তৈরি আটকে রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে পাঁচশো জমিদাতা রয়েছেন এলাকায়। যাঁদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন, এমন বাসিন্দার সংখ্যা আশির বেশি হবে না বলেই দাবি। বাকিদের দাবি, ক্ষতিপূরণের হার বাড়াতে হবে। ওই এলাকায় জাতীয় সড়কের কাজ করতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কাজ তাই থমকে। এ দিন জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনার অজিত বর্ধন সকলের দাবিদাওয়া শোনেন। জলপাইগুড়ি জেলার বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক পিনাকী সেনগুপ্তও ছিলেন।

প্রশাসন এ দিন জমিদাতাদের জনে জনে আবেদন করেছে, যাতে দ্রুত কাজ শুরু হয়। প্রশসানের কথায়, আলোচনা তো চলছেই। ক্ষতিপূরণের টাকা থেকেও কেউ বঞ্চিত হবেন না। এর পরেই প্রশাসনের তরফে অনুরোধ, রাস্তার কাজটা যেন শুরু হয়। হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আগামী মার্চের মধ্যে এই অংশের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে। তার পরে জমিজটে কাজ আটকে থাকলে হাইকোর্টের শাস্তির মুখেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, এ দিন জমিদাতাদের কাছে আরও ২০ দিন সময় চাওয়া হয়েছে। এই সময়ে ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর বিষয়ে আশ্বাস মিলতে পারে বলে সূত্রের খবর। জমিদাতারাও নিরাশ করেনি প্রশাসনকে। এ দিন বিভাগীয় কমিশনারের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা বলেন, “প্রশাসনের অনুরোধ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Land Dispute Jalpaiguri Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE