Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
toy train

চালু হতেই চাহিদার তুঙ্গে টয় ট্রেনের ‘জয় রাইড’

কর্তৃপক্ষের দাবি, যে ভাবে চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তা বড়দিনের ছুটির পরেও বজায় থাকলে ইভনিং জঙ্গল সাফারি, এনজেপি-দার্জিলিংয়ের মত পরিষেবাগুলিও ধাপে ধাপে চালু হতে পারে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শান্তশ্রী মজুমদার
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:০৩
Share: Save:

সাত মাস পর, বড়দিন থেকেই দার্জিলিংয়ে টয় ট্রেনের ‘জয় রাইড’ শুরু করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল। আর এই দু’দিনেই চাহিদা আকাশছোঁয়া বলে জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকেরা। রবিবার থেকে তিনটির বদলে চারটি রাইড চালাতে হয়েছে ঘুম এবং দার্জিলিংয়ের মধ্যে।

কর্তৃপক্ষের দাবি, যে ভাবে চাহিদা তৈরি হচ্ছে, তা বড়দিনের ছুটির পরেও বজায় থাকলে ইভনিং জঙ্গল সাফারি, এনজেপি-দার্জিলিংয়ের মত পরিষেবাগুলিও ধাপে ধাপে চালু হতে পারে। টয় ট্রেনে যাত্রী বৃদ্ধিতে খুশি ব্যবসায়ীরাও।

লকডাউনের এতদিন পর যেহেতু টয় ট্রেন চালু হচ্ছে, স্থির হয়েছিল, বড়দিনের এই ছুটির সময় দিনে তিনটি করে ‘জয় রাইড’ চালানো হবে দার্জিলিং-ঘুম-দার্জিলিং রুটে। কিন্তু যাত্রী বেড়েছে। বেড়েছে ব্যবসা। প্রচুর পর্যটক টয় ট্রেন চালু হওয়ার কথা শুনেই ফের পাহাড়ের দিকে পা বাড়াচ্ছেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা একে মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা খুব আশাবাদী। ভেবেছিলাম, প্রথমেই হয় তো পর্যটক হবে না। কিন্তু ট্রেন খোলার পরেই বাড়তে শুরু করেছে বুকিংও।’’

সূত্রের দাবি, শুক্র ও শনিবার বাষ্পচালিত সাধারণ ইঞ্জিন, বাষ্পচালিত ভিস্তডোম কোচযুক্ত ইঞ্জিন এবং ডিজ়েল ইঞ্জিনে প্রথম শ্রেণির পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। এ দিন থেকেই আরও একটি ডিজ়েল ইঞ্জিন চালানো শুরু হয়েছে। করোনার আগে দিনে ৯-১২টি ‘জয় রাইড’ চালানো হত। কিন্তু লকডাউনের পর সেই যাত্রী থাকবে না আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রেলের আধিকারিকরাও। তাই যথাসম্ভব কম যাত্রী নিয়েই ওই পরিষেবা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। রাজ্য সরকার অনেকটা পরে পাহাড়ে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয় বলে বিভিন্নমহল থেকে একটা অভিযোগ ছিল।

শিলিগুড়ি স্টেশন থেকে রংটং পর্যন্ত ইভনিং জঙ্গল সাফারি অনেকদিন আগেই যাত্রীর অভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং প্যাসেঞ্জার টয় ট্রেনেও যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন অস্বাভাবিক ভাবে কমছিল। বছরে প্রায় সাত কোটি টাকা ভর্তুকিতে চলা টয় ট্রেন পরিষেবা ঐতিহ্যের কারণেই মূলত চালু রাখার চেষ্টা হয় বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। কিন্তু যাত্রী কমতে থাকায় পাহাড়ে ‘জয় রাইডে’র উপরেই জোর দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সালে পাহাড়ে টয় ট্রেনের ঘরোয়া যাত্রী এবং বিদেশি যাত্রীদের উপর ভরসা করেই ক্ষতির বোঝা কিছুটা কমাতে পারেন রেল কর্তৃপক্ষ।

তবে ব্যবসায়ীরা যাত্রীদের বুকিংয়ের এই ধরন দেখে বেশ খুশি। তাঁরা নতুন করে পর্যটন চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন। পথেও নেমেছিলেন বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পাহাড়ে ট্রেন চালু হলেই তা জেনে আরও অনেক পর্যটক আসবেন, তা আমরা আগেই আশা করছিলাম। তাই হয়েছে। ট্রেন চালানোর খবর পেয়েই বড়দিনে পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে।’’ এই ধারা বড়দিনের পরেও বজায় থাকলে পর্যটন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় ঢুকবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

toy train Himalayan Rail tourists
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE