Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩
Teacher Arrested

স্কুলে চাকরির ফাঁদে ফেলে ১৭ লক্ষ টাকা ‘প্রতারণা’, জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার স্কুলশিক্ষক

অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শিক্ষক সন্তোষ বর্মণ ১৭ লক্ষ টাকা ‘ঘুষ’ নেন বাপ্পা মালাকারের কাছ থেকে। কিন্তু চাকরি দিতে পারেননি। ফেরত দেননি ১৭ লক্ষ টাকাও।

শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক।

শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০০
Share: Save:

আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে। জলপাইগুড়ি জেলার আমবাড়ির ঘটনা।

Advertisement

অভিযোগ, তিন বছর আগে বাপ্পা মালাকার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে আপার প্রাইমারিতে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন আমবাড়ি চিন্তামোহন হাই স্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মণ। চাকরি তো হয়ইনি, টাকা ফেরত চাইলে তা-ও পাননি বাপ্পা। বাধ্য হয়ে রবিবার আমবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষক সন্তোষকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

বাপ্পা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমি ১৭ লক্ষ টাকা দিয়েছি। এর বাইরেও আরও অনেক চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, তাঁরাও ওই শিক্ষককে বহু টাকা দিয়েছেন। আমি বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন ভাড়াবাড়িতে থাকতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার পরে বহু বার মাস্টারমশাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম টাকা চাইতে। সেই সব ভিডিয়ো রয়েছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘সন্তোষই এজেন্ট সেজে আমার কাছে আসেন। আমাকে বলেছিলেন সকলের চাকরি হচ্ছে, তুই ভাল ছাত্র। তুই কেন বাদ যাবি! তত দিনে আমি টেটে পাশ করে গিয়েছি। কিন্তু কোনও কারণে সেই তালিকা বাতিল হয়ে যায়। তাঁকে বহু বার বলেছি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পাইনি। ফোন বন্ধ করে রাখতেন। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী বাপ্পা ও অভিযুক্ত শিক্ষক সন্তোষ দু’জনই কোচবিহারের শীতলখুচির বাসিন্দা। পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় দু’জনের আগে থেকেই পরিচয়। অন্য দিকে, স্কুলের প্রধানশিক্ষক প্রশান্ত দাস বলেন, ‘‘শুধুমাত্র স্কুলের সহ-শিক্ষক নন, উনি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মেম্বারও। কিন্তু এমন ঘটনা সত্যি লজ্জাজনক। এক জন শিক্ষক হয়ে উনি এই কাজ করেছেন, এটা মানা যায় না। কমিশন থেকে উনার বিরুদ্ধে যা ব্যাবস্থা নেবে স্কুলও সেটাই মেনে চলবে।’’

Advertisement

এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সিপি অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘‘কোচবিহারের বাসিন্দা বাপ্পা মালাকার শিক্ষক সন্তোষ বর্মণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.