খড়িবাড়ির সিঁদুরবালা বালিকা বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের টোপ দিয়ে পাচারের অভিযোগে তাঁর বাবা-মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল পুলিশ। বুধবার দুপুরে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়া নিয়ে খড়িবাড়ির বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল নিজেই এ দিন পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ ওই নাবালিকা ছাত্রীর বাবা, মাকে আটক করেছে। এলাকায় এ ধরনের আরও কিছু ঘটনার কথা বাসিন্দারা তাঁকে জানিয়েছেন বলেও বিডিও পুলিশকে জানিয়েছেন।
প্রায় এক মাস ধরে ওই ছাত্রী স্কুলে আসছে না দেখে সহপাঠীদের কয়েকজন খোঁজ করতে তার বাড়িতে গিয়েছিল। তখন তারা জানতে পারে ভিন্ রাজ্যে ছাত্রীটির বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ছাত্রীটির খোঁজ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীর পরিবারের তরফে প্রথমে জানানো হয়, তাঁকে উত্তরপ্রদেশে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা জানাজানি হতেই বাসিন্দাদের একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করেন। কেন না গ্রামে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি। তা ছাড়া ছাত্রীর মা পড়শি এক মহিলাকে নিয়ে ভিন্ রাজ্যে গিয়েছিলেন। অথচ প্রতিবেশীদের বলে গিয়েছিলেন তাঁরা আলিপুরদুয়ারে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন। তা ছাড়া, কোথায় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন সেই ঠিকানাও বলতে পারছিলেন না। তাতেই বিয়ের টোপ দিয়ে ছাত্রীটিকে পাচার করা হয়েছে বলে বাসিন্দারা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
ছাত্রীর বাবা দাবি করেন তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল নয়। মেয়ের পড়াশোনা চালাতে পারছিলেন না। হস্টেলের জন্য অনুরোধ করলেও কেউ ব্যবস্থা করে দেয়নি। তা ছাড়া এলাকার কিছু মাতাল যুবক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। তাই পড়শি এক মহিলার মাধ্যমে ভালপাত্রের সন্ধান পাওয়ায় বিয়ে দিয়েছেন। প্রথমে উত্তরপ্রদেশে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বললেও পরে তাঁরা জানান, হরিয়ানায় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এরপরেই এ দিন বিডিও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy