বাংলাদেশিদের হাতে অপহৃত ভারতীয় কৃষক উকিল বর্মণকে তিন দিন পরেও দেশে ফেরানো সম্ভব হল না। সূত্রের খবর, তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে। শুক্রবার এ নিয়ে কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্ত শীতলখুচিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ করে বিএসএফের হাতে ওই কৃষককে তুলে দেওয়ার কথা ছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। তবে কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, ‘‘বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’’
গত বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ পশ্চিম শীতলখুচি সীমান্তের বাসিন্দা উকিল বর্মণ কাঁটাতারের ও-পারে তাঁর কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের কিছু লোক তাঁকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগে ওই সীমান্তের গাছতলা গ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক চোরাকারবারির মৃত্যু হয়। সন্দেহ, তার জেরেই ওই ‘অপহরণ’।
এ দিন সকালে দুই দেশের সীমান্তে বিএসএফ-বিজিবির ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’-এর পরে জানা যায়, ওই কৃষককে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিজিবি। বাংলাদেশ পুলিশ ওই কৃষককে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাতে তাঁকে আদালতে হাজির করানো হতে পারে। বিষয়টি জানতে পেরেই শীতলখুচির পণ্ডিতপাড়া গ্রামে বিএসএফকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভে আটকে পড়েন কোচবিহারের সাংসদ তৃণমূলের জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি কৃষকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। বিএসএফ এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথাও বলেন। সাংসদ জানান, প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই কৃষককে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে চাই। সীমান্তবাসীদের সুরক্ষায় বিএসএফের আরও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন।’’ বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই কৃষককে ফেরাতে প্রয়োজনীয় চেষ্টা হচ্ছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)