রঙিন আলপনায় সেজে উঠেছে স্কুল। মাধ্যমিক শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে স্কুলকে সাজিয়ে তুলল স্কুলেরই ছাত্রীরা। শনিবার এমনই ছবি দেখা গেল হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, আইহো গার্লস, মানিকোড়া এবং তিলাসন হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছে আর এন রায় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের ভয় ভাঙাতে আলপনা দিয়ে স্কুল সাজানো হয়েছে বলে জানান স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবোধ রায়। তিনি বলেন, ‘‘মাধ্যমিকে ভিন্ন স্কুলের পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসে। ভিন্ন স্কুল হওয়ায় তাদের মধ্যে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। সে ভয় ভাঙাতে আলপনা দিয়ে স্কুল সাজানো হয়েছে। স্কুলের শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় আরও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
স্কুল সাজানোর পাশাপাশি বামনগোলার সোনঘাট, খুটাদহের মতো সীমান্ত গ্রামে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দুয়ারে গিয়ে কলম, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পথে সহায়তা কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। পিছিয়ে নেই সিপিএমের শিক্ষক সংগঠন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতিও।
মাধ্যমিক সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর পুলিশ প্রশাসনও। জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় ৪৭ হাজার ৯০০ পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে, ২০ হাজার ৬৭২ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ২৭ হাজার ২২৮ জন। ১২২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। নকল রুখতে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরের পাশাপাশি ভিতরেও একাধিক বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে সমাজ মাধ্যমের সাহায্যে প্রশ্নপত্র বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জেলায় প্রায় ওঠে। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র হাতে পাওয়ার পরে ক্লাসরুম থেকে পরীক্ষার্থীরা বের হতে পারবে না। বিশেষ প্রয়োজনে বের হলেও প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র পরীক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।
পরীক্ষার দিনগুলিতে যানজট নিয়ন্ত্রণও করা হবে বলে জানান মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন থাকবে। রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’
পরীক্ষার্থীদের সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি উত্তীয় পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে সংগঠনের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা শুনছেন। পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।’’ এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক অরুণকুমার প্রসাদ বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কলম, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা
জানানো হচ্ছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)