প্রতীকী চিত্র।
টানা ৩৪ মিনিটের ভাষণ। তাতে উঠে আসল দেশ ও রাজ্যের নানা প্রসঙ্গ৷ অথচ, লম্বা এই ভাষণে চা বাগান নিয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ যা নিয়ে রীতিমত হতাশ দলের আলিপুরদুয়ার নেতাদের একাংশই। তবে প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তাঁরা।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “চা বাগান নিয়ে আমাদের দলের জেলা নেতারা সব সময়ই বলছেন৷ সেটা উনি জানেন৷ তাছাড়া আমরা ভাষণে নয়, কাজ করায় বিশ্বাসী৷ সেজন্যই হয়তো এদিন নিজের বক্তব্যে চা বাগানের প্রসঙ্গ টানেননি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি৷ তাছাড়া আলিপুরদুয়ারের চা শ্রমিকরাও এতদিনে জেনে গিয়েছেন, কারা ওনাদের সঙ্গে রয়েছেন৷” যা শুনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা পাল্টা বলেন, “কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদী চা বাগান নিয়ে যেভাবে মিথ্যে কথা বলেছিলেন, তেমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া রুখতে অমিত শাহ এ দিন বিষয়টি নিয়েই চুপ করে ছিলেন৷’’
লোকসভা নির্বাচনে এই বাগান এলাকার উপর নির্ভর করেই বাজিমাত করতে মরিয়া বিজেপি নেতারা৷ কিন্তু অমিতের সভা থেকে চা নিয়ে কোনও বার্তা না পাওয়ায় হতাশ বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি সূত্রের খবর, কাজের দিন হওয়ায় বাগান শ্রমিকেরা অমিত শাহের জনসভা নিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন৷ ফলে এ দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভায় কার্যত চা শ্রমিকদের দেখাই যায়নি৷ এই অবস্থায় বিজেপি নেতাদের আশা ছিল, চা শ্রমিকেরা না এলেও আলিপুরদুয়ারে জনসভা হওয়ায় বাগান নিয়ে কিছু বার্তা দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি৷ কিন্তু গোটা ভাষণে তিনি একটি বাক্যও চা বাগান কিংবা শ্রমিকদের নিয়ে খরচ না করায় রীতিমত হতাশ বিজেপির জেলা নেতাদের একটা বড় অংশ৷ বিজেপির আরেক জেলা নেতার ব্যাখ্যা, “আসলে মাত্র তিনদিন আগে সর্বভারতীয় সভাপতির জনসভার দিন ঠিক হয়েছে৷ এত কম সময়ে আমরাও তাঁর সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাইনি৷ তাই হয়তো বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেননি তিনি৷”
তা শুনে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। মোহন বলেন, ‘‘এটা বুঝতে পারছিনা চা বাগানের মানুষর কথা বলতে যাঁদের হোমওয়ার্কের প্রয়োজন হয়, তাঁরা আবার চা শ্রমিকদের থেকে ভোট চান কী করে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy