তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট ‘সেমিফাইনাল’ ছিল। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট হবে ‘ফাইনাল’। পঞ্চায়েত ভোটের ফলের পরে, এমনই মন্তব্য প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটের তিন স্তরেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল।
বুধবার এক বৈঠকে দলের এই জয় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজীব বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল বিজেপির বিজয়রথকে থমকে দিয়েছে রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে বিজেপি মানুষের আস্থা হারিয়েছে। এত দিন উত্তরবঙ্গের চা বলয়ের জায়গাগুলি বিজেপির দখলে ছিল। অনেক মানুষ তৃণমূল বিমুখ ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল যে ভাবে চা বাগান ও বিভিন্ন গ্রামে কাজ করেছে, তাতে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের গড় ছিল। আসন্ন লোকসভা ভোটে তা আবার প্রমাণ হবে।” তাঁর দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি অত্যন্ত সাড়া ফেলেছে বাংলা জুড়ে। বিরোধীদের কোনও জনসংযোগ ছিল না। ভোটের আগে, শুধু মুখ দেখালে হয় না। সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হয়।’’
অন্য দিকে, জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছে। প্রায় ১০ বছর এই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ছিল। এ দিন রাজীব বলেন, “যেখানে দল হেরেছে সেখানে হারের ব্যাপারে পর্যালোচনা হবে। কোথায় সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল, তা নিশ্চয় দলের তরফে খোঁজ নেওয়া হবে।” পাশাপাশি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “এর আগে যিনি রাজ্যপাল ছিলেন তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। এখন উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এই রাজ্যপালও ভাবছেন, সে ভাবে কাজ করলে আরও বড় কোনও পুরস্কার পাবেন।”
ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল কী ভাবে ভোট করিয়েছে, তা মানুষ জানে। রাজ্য জুড়ে ছাপ্পা ভোট হতে দেখা গিয়েছে প্রচুর বুথে। লোকসভায় রাজ্যে বিজেপি আগের থেকেও ভাল ফল করবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy