প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই জলপাইগুড়ি জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের একশো দিনের কাজের প্রকল্পে জব কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকায় প্রায় ৭৫০ জনকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এই কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান। একই সঙ্গে এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কাজে উপভোক্তাদের ছবি তোলা/ কিছু সমস্যা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ক্ষেত্রেও দ্রুত জট কাটানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলায় প্রায় ২৮ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিক নন, এমন গরিব মানুষ যাঁদের জব কার্ড নেই, তাঁদেরও কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার জন জব কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘চা বাগান এলাকায় বুথভিত্তিক একশো দিনের প্রকল্পে জব কার্ড দেওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি সকল আবেদনকারীদের এই কার্ড দেওয়া হবে। দ্রুত এই কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
মঙ্গলবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে ভিডিয়ো বৈঠক হয়েছে। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে এই কর্মসূচি ২৫ জানুয়ারি শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। জেলায় সাড়ে তিন লক্ষ উপভোক্তাদের এই কর্মসূচিতে পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ১৪.৫ শতাংশ উপভোক্তাদের কাছে এই কর্মসূচির পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য জেলায় এই কর্মসূচিতে প্রায় ২৯ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এঁদের মধ্যে মাত্র ২০০০ উপভোক্তা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন। এই কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের ছবি তোলা, আধার কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। দ্রুত এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজেও গতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার ছবি তোলার কাজে যুক্তদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের যাতে শংসাপত্র পেতে কোনও হয়রানি হতে না হয়, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy