মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।
কোথাও জমে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। কোথাও আবার মজে রয়েছে নিকাশি নালা। পুজোর মরসুমে এমনই বেহাল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন জ্বরে আক্রান্ত বহু রোগী। একাধিক রোগীর ডেঙ্গি সন্দেহে চিকিৎসাও চলছে। এই অবস্থায় খোদ হাসপাতাল চত্বরেই অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, মশার উপদ্রবে হাসপাতালের ওয়ার্ডে বসে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে। যদিও হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কারের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
সংক্রামক বিভাগ, মানসিক ওয়ার্ড থেকে শুরু করে হাসপাতালের আনাচে-কানাচে ঠাঁই হয়েছে নোংরা আবর্জনার স্তূপের। দুর্গন্ধে এলাকায় টেকা দায় হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে নিকাশা নালাও নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় মজে রয়েছে।
পুজোর আগে মালদহে টানা ঘণ্টাখানেক বৃষ্টি হওয়ায় জল জমে গিয়েছিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে। নিকাশি নালা মজে যাওয়ায় জল নামতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায়। তারপরেও হাসপাতালের নিকাশি নালার হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ। জমে থাকা নিকাশি নালা এখন মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। একই সঙ্গে হাসপাতালেই মশার উপদ্রব হওয়ায় ডেঙ্গির আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে শতাধিক জ্বরের রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার জন্য দুই বিভাগেই উপচে পড়ছে রোগীর ভিড়। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় মেঝেয় রেখে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গি সন্দেহে চিকিৎসা চলছে চারজনের। তাঁদের বাড়ি মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ, সাধারণ রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গি সন্দেহে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
কালিয়াচকের বাসিন্দা দিলবর শেখ বলেন, “দিনের বেলায় ডেঙ্গির মশা কামড়ায় বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে মশারি টাঙিয়ে ঘুমনোর কথা বলা হচ্ছে। অথচ, মেডিক্যাল কলেজেই দিনের বেলাতেই মশার উপদ্রব রয়েছে। এমনকি, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে জ্বরের রোগীদেরও চিকিৎসা চলছে।”
এর জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দুষেছেন হাসপাতালেরই একাংশ কর্মী। তাঁদের দাবি, হাসপাতালের প্রশাসনিক আধিকারিকদের অধিকাংশই ছুটিতে রয়েছেন। ফলে নজরদারি ঠিক মতো না হওয়ায় সর্বত্র আবর্জনা জমে রয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, “হাসপাতাল চত্বর নিয়মিত সাফাই করা হয়। তার পরেও নোংরা আবর্জনা জমে থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা চলছে। পরিকাঠামোর অভাব নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy