মৃতের বোন চান স্বামীর শাস্তি। — নিজস্ব চিত্র।
বোনের শ্বশুরবাড়িতে নিত্য অশান্তি হত। ঝামেলা মেটাতে গিয়ে ভগ্নিপতির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল শ্যালকের। বুধবার এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল দার্জিলিঙের নকশালবাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন বছর আগে নকশালবাড়ির বাসিন্দা বিপুল রায়ের বোন সরস্বতীর সঙ্গে বিয়ে হয় গোবিন্দ বর্মণের। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিপুলের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সরস্বতীর উপর অত্যাচার চালাতেন স্বামী। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বেশ কয়েক দিন বাপের বাড়িতে এসে ছিলেন সরস্বতী৷ তবে মঙ্গলবার রাতে গোটা ব্যাপারটার মীমাংসা চেয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসতে চান জামাই গোবিন্দ। তিনি একটি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে এসে কথা কাটাকাটি হতেই শ্যালককে বাড়ির বাইরে ডাকেন গোবিন্দ। বিপুল বাইরে আসতেই গাড়ি চালিয়ে তাঁকে সোজা ধাক্কা মারেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিপুলের। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যান গোবিন্দ।
এ নিয়ে বুধবার নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে জামাইয়ের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবার। মৃতের বোন সরস্বতীর কথায় , ‘‘মীমাংসা করতে এসে দু’জনের মধ্যে প্রথমে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। আমি দু’জনকে আটকাতে যাই। মুহূর্তের মধ্যে হাতাহাতি হয় দু’জনের। এর পরই আমার স্বামী দাদাকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে গাড়ি চাপা দেয়।’’ কেঁদে ফেলেন তিনি। তার পর বলেন, ‘‘আমি এর বিচার চাই।’’
মৃতের আত্মীয় পরিমল রাজবংশীর দাবি, ‘‘এটা পরিকল্পিত খুন। বিয়ের পর থেকে আমাদের মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত জামাই। ঝামেলা মেটাতে ওঁরা এ বাড়িতে আসেন। এখানে এসে ঝামেলা না মিটিয়ে উল্টে বিপুলকে গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এর কঠোর শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy